পাকিস্তানের রাজধানীতে একটি ইসলামি রাজনৈতিক দলের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। অর্থনৈতিক দুর্ভোগের কারণে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ চাইছেন তারা। সরকারি বিভিন্ন ভবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দাঙ্গা পুলিশ কনটেইনার ব্যবহার করে ব্যারিকেড বসিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বার্তা সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেস জানায়, এই বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন জমিয়তে উলেমা-ই-ইসলাম দলের প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমান।
তিনি ইমরান খানকে পদত্যাগের জন্য রবিবার পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। কয়েক শ কার ও বাস নিয়ে গত রবিবার ‘আজাদি মার্চ’ শুরু হয়। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে তা রাজধানীতে পৌঁছেছে। সরকার অনুমোদিত উন্মুক্ত স্থানে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে অবস্থান নিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। এখানে দলীয় পতাকা নাড়িয়ে স্লোগান দিচ্ছেন তারা। শনিবার দেশটির ‘রেড জোন’ এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত শিপিং কনটেইনার সড়কে স্থাপন করেছে। এই এলাকায় রয়েছে দেশটির পার্লামেন্টে, সুপ্রিম কোর্ট এবং প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন।
ফজলুর রহমান ইঙ্গিত দিয়েছেন, রবিবারের মধ্যে ইমরান পদত্যাগ না করলে বিক্ষোভকারীদের নিয়ে তিনি রেড জোনে প্রবেশ করবেন। কোনও চাপেই তিনি নতি স্বীকার করবেন না। শুক্রবার রাতে দেওয়া ভাষণে জমিয়ত নেতা বলেছেন, তাদের মিছিল শান্তিপূর্ণ। কিন্তু ইমরান খানের সরকারি বাসভবনে প্রবেশ করে তাকে সরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা তাদের রয়েছে। তিনি দেশটির সেনাবাহিনীকে নিরপেক্ষ থাকার আহŸান জানিয়েছেন। এই বিক্ষোভে কোনও নারী অংশ নিচ্ছেন না। বিক্ষোভের খবর সংগ্রহে নারী সংবাদকর্মীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
‘কোনও অগণতান্ত্রিক দাবি মানা হবে না’
বিক্ষোভকারীদের কোনও অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক দাবি মেনে না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সরকারবিরোধী বিক্ষোভ-কারীদের সঙ্গে আলোচনায় গঠিত সরকারি কমিটিকে নিজের এমন মনোভাবের কথা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। শনিবার পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও টিভি-র খবরে বলা হয়েছে, উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি আলোচকরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলে তাদের কাছে নিজের মনোভাব জানিয়ে দেন ইমরান খান।