ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ইরান

1

ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। গতকাল মঙ্গলবার ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। ইসরায়েলজুড়ে সাইরেন বাজছে এবং দেশটির নাগরিকেরা নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছেন। ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সরাসরি স¤প্রচার চলাকালে রিপোর্টারদের মাটিতে শুয়ে পড়তে দেখা গেছে।
রয়টার্সের সাংবাদিকেরা ইরান ও ইসরায়েলের প্রতিবেশী দেশ জর্ডানের আকাশসীমায় ক্ষেপণাস্ত্রকে লক্ষ্যভ্রষ্ট করতে দেখেছেন। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইরান একশর মতো ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। খবর বিবিসিও রয়টার্সের।
ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসমাইল হানিয়া, হাসান নাসরুল্লাহ ও আইআরজিসির ডেপুটি কমান্ডার ফর অপারেশনস জেনারেল আব্বাস নীলফরৌশানকে হত্যার জবাবে দখলদার ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে এ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। এর আগে গত এপ্রিলে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ইরান। ওই মিসাইলগুলো ইরান থেকে ইসরায়েলে পৌঁছাতে সময় লেগেছিল মাত্র ১২ মিনিট।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী মাইক্রো বøগিং সাইট এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানিয়েছে, সব ইসরায়েলি বোমা আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন। আলজাজিরা জানিয়েছে, তেলআবিবের আকাশে অগ্নিকুন্ড ও ক্ষেপণাস্ত্র দেখা গেছে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের মিশন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক পোস্টে তেহরান ইঙ্গিত দিয়েছে যে ইসরায়েলের ওপর তাদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা সমাপ্ত হয়েছে। এতে ইসরায়েলি সরকারকে পাল্টা হামলা থেকে বিরত থাকার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে ইসরায়েলকে রক্ষায় সহায়তা করতে এবং অঞ্চলে মোতায়েন মার্কিন সেনাদের সুরক্ষিত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত।
এর আগে মার্কিন কর্মকর্তা ও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছিল, আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তিন ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, ইরানের পরিকল্পিত হামলার লক্ষ্য তিনটি সামরিক বিমানঘাঁটি এবং তেল আবিবের উত্তরে অবস্থিত একটি গোয়েন্দা সদর দপ্তর। গতকাল দুপুরে এই সদর দপ্তর খালি করে ফেলা হয়েছে।
এপ্রিল মাসে ইরান ইসরায়েলের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়। ওই সময় ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান সিরিয়ায় থাকা ইরানি শীর্ষ কমান্ডারদের হত্যা করেছিল। তখন উভয় পক্ষই বড় ধরনের যুদ্ধ এড়াতে চেয়েছিল। কিন্তু কূটনীতিক ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের আশঙ্কা অনেক বেশি। ইরানের নতুন হামলার পর ইসরায়েল পাল্টা আঘাত করতে প্রস্তুত রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইসরায়েলের মিত্ররা এপ্রিলের হামলায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন প্রতিহত করতে সহায়তা করেছিল। ফলে ইসরায়েলের অবকাঠামোয় সীমিত ক্ষতি হয়েছিল।