ইসকনের উস্কানিতে অরাজকতা তৈরি করা হয়েছে

হাটহাজারী প্রতিনিধি

হেফাজতে ইসলামের নেতারা দাবি করে বলেছেন, হাটহাজারী পুন্ডরীক ধামের সাবেক অধ্যক্ষ ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে উগ্র হিন্দুত্ববাদী ইসকনের কর্মী-সমর্থকরা সন্ত্রাসী আক্রমণ চালিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে দিনের আলোয় জনসম্মুখে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। এছাড়া তারা আদালত ভবনের মসজিদে ভাঙচুরও করেছে।
গতকাল বুধবার বিকালে হাটহাজারী মাদ্রাসা সংলগ্ন আল-আমিন সংস্থার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটির উত্তর জেলা নেতৃবৃন্দ। এতে বক্তব্য রাখেন এবং বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনির।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন হেফাজতের কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক মাওলানা মুফতী মুহাম্মদ আলী কাসেমী, সহকারী মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ আজাদী, মাওলানা জাফর আহমদ, মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়জী, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মাওলানা মাহমুদ হুসাইন, মাওলানা শফিউল আলম ও সহ দফতর সম্পাদক মাওলানা নিজাম সাইয়্যিদ।
আওয়ামী মদদপুষ্ট ইসকনের উস্কানিতে এ ষড়যন্ত্রমূলক অরাজকতা তৈরি করা হয়েছে উল্লেখ করে হেফাজত নেতৃবৃন্দ বলেন, ষড়যন্ত্রে জড়িত ইসকনের কর্মী-সমর্থকদের দ্রæত গ্রেপ্তার করে শহীদ আলিফ হত্যার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে। এছাড়া যারা আওয়ামী চক্রান্তের সাথে একীভূত হয়ে দেশবিরোধী অরাজকতা তৈরি করতে সক্রিয়, তাদের বিরুদ্ধেও যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার নজির দেখাতে হবে।
তারা বলেন, আবহমানকাল থেকে হাটহাজারী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উর্বর ভূমি। আমরা এখনও হাটহাজারীতে সেই সহাবস্থান ধরে রাখতে চাই। তাই কেউ যেন আইন হাতে তুলে না নেন- সেই আহবান জানাচ্ছি। আমরা এ ঘটনায় শান্ত ও সংযত থেকেছি বটে কিন্তু এদেশের মুসলমানদের ধৈর্য্যরেও সীমা রয়েছে, তা মাথায় রাখতে হবে। ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পর থেকে এ সংগঠনটি আবারও আওয়ামী ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের কোন ফাঁদে পা না দিতে সাধারণ সনাতনী হিন্দুদের প্রতি আমরা জোর আহবান করছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হেফাজত নেতা মাওলানা হাফেজ আলী আকবর, মাওলানা নজরুল ইসলাম ওমানী, মাওলানা রিজওয়ান আরমান, মাওলানা শাহজাহান মাওলানা আবুল হাশেম এবং মাওলানা আনিসুল ইসলাম প্রমুখ। পরে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় মুনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মুফতী মুহাম্মদ আলী কাসেমী।