ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিরসনে যুদ্ধবিরোধী কূটনীতি

2

অমল বড়ুয়া

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র ইহুদী রাষ্ট্র ইসরায়েল। ১৯৪৮ সালে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের গোড়াপত্তন। এই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পেছনে রয়েছে সুদীর্ঘ ইতিহাস। ১৮৯৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে বিশ্ব জায়নবাদী সংস্থার (ওয়ার্ল্ড জায়নিস্ট অর্গানাইজেশন)। যাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ছিল একটি ইহুদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার। আর এই সংগঠনের বিশতম বর্ষে ১৯১৭ সালের ২ নভেম্বর জায়নবাদী নেতা ব্যারন রথচাইল্ডকে তৎকালীন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লর্ড আর্থার বালফোর একটি ছোট্ট পত্র লিখেছিলেন। যেখানে তিনি লিখেছিলেন- ‘মহামান্য (ব্রিটিশ) সরকার ফিলিস্তিনে ইহুদি জনগণের জন্য জাতীয় আবাসভ‚মি গড়ে তোলার বিষয়ে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে আর এই লক্ষ্য অর্জনে তার সর্বোত্তম প্রয়াস প্রয়োগ করা হবে এবং এটাও পরিষ্কার যে এমন কিছু করা হবে না, যা ফিলিস্তিনে বিদ্যমান অ-ইহুদি সম্প্রদায়ের নাগরিকদের ধর্মীয় অধিকার কিংবা অন্য কোনো দেশে ইহুদিদের বিরাজমান অধিকার ও রাজনৈতিক অবস্থান ক্ষুণ্ণ করতে পারে।’ যা বালফোর ঘোষণাপত্র নামে পরিচিতি পায়। আর এই বালফোর ঘোষণার মাধ্যমে ইহুদিবাদ বা ইহুদি জাতীয়তাবাদকে স্বীকৃতি দেয়া হয়। বালফোর ঘোষণার প্রেক্ষিতে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষদিকে অটোমান সাম্রাজ্যের কাছ থেকে ফিলিস্তিন ভূখন্ড ব্রিটিশদের অধীনে চলে যায়। ১৯২০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিটিশরাজ ম্যানডেটরি প্যালেস্টাইনের শাসনভার গ্রহণ করে, যা চলে ১৯৪৮ সালের মে মাস পর্যন্ত। ব্রিটিশদের প্রত্যক্ষ মদদেই অভিবাসী ইহুদিদের নিয়ে ১৯২১ সালেই গঠন করা হয় হাগানাহ নামের আধা সামরিক বাহিনী। এর অব্যবহিত পরেই জন্ম হয় ইরগুন ও স্টার্ন গ্যাং নামক আরও দুটি জায়নবাদী সংগঠনের। বালফোর ঘোষণার ২০ বছর পর বা আজ থেকে ৮০ বছর আগে ১৯৩৭ সালে ব্রিটিশ সরকারের নিয়োগকৃত পিল কমিশন ফিলিস্তিন ভূখন্ডে একটি ছোট ইহুদি রাষ্ট্র গঠন করে পূর্বে ট্রান্স জর্ডান ও পশ্চিমে মিসরসংলগ্ন বৃহত্তর অংশে আরবী অধিবাসীদের স্থানান্তর এবং জেরুজালেম ও বেথলেহেমকে দুই রাষ্ট্রের মধ্যে একটি ছিটমহল হিসেবে রাখার প্রস্তাব করে। ১৯৩৯-৪৫ কালপর্বে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলারের চরম ইহুদিবিদ্বেষের ফলে বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ইউরোপে কমবেশি ৬০ লাখ ইহুদিকে নিধন করা হয়, যা ইতিহাসে হলোকাস্ট হিসেবে স্বীকৃত। আর নিধনযজ্ঞ জায়নবাদীদের জন্য স্বতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিরাট সুযোগ এনে দেয়। ১৯৪৭ সালের ২৯ নভেম্বর সদ্য গঠিত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিন ভূখন্ডকে ইহুদি ও আরবদের মধ্যে দুই ভাগ করার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। ১৯৪৮ সালের ১৪ মে ফিলিস্তিনে ব্রিটিশ ম্যানডেট বা শাসন শেষ হলে বেন গুরিয়ান আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন ইসরায়েল রাষ্ট্র ঘোষণা করেন। জর্ডান নদীর পশ্চিম দিকের ভূখন্ডে ইসরায়েল রাষ্ট্রের অবস্থান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রুম্যান সঙ্গে সঙ্গে একে স্বীকৃতি দেন। ইসরায়েলের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন ডেভিড বেন গুরিয়ান, যিনি পোল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯০৬ সালে অটোমান ফিলিস্তিনে অভিবাসী হয়ে আসেন আর কট্টর জায়নবাদী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন। মুসলিম দেশসমূহের মধ্যে তুরস্ক প্রথম ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ১৯৪৯ সালে। আর দ্বিতীয় মুসলিম দেশ হিসেবে ১৯৫০ সালে ইরান ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়। আর এতে করে ক্রমে দুই দেশের মধ্যে গড়ে ওঠে ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক। ১৯৫৭ সালে ইরানের গোয়েন্দা সংস্থা ‘সাভাক’ প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেছিলো ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। তবে দুই দশকের মধ্যে সেই বন্ধুত্ব রূপ নেয় চির বৈরিতায়।
ইরানের সরকার ইসরায়েলের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকলেও আয়াতুল্লাহ খোমেনী এবং তার অনুসারীরাও ছিলেন ফিলিস্তিনে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে। তাছাড়া, ইরানের শাহশাসন বিরোধী বামপন্থীদের সঙ্গে ফিলিস্তিনি সংগঠন ফাতাহ এবং এর নেতা ইয়াসির আরাফাতের সাথে ছিল ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ। তবে ইরান-ইসরায়েল সম্পর্ক ভেঙ্গে পড়ে মূলত ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লবের পর। ইরানের বিপ্লবী সরকার ফিলিস্তিনে ইসরায়েল রাষ্ট্রের অস্তিত্বকেই অস্বীকার করে এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে ফিলিস্তিনিদের পক্ষ নেয়ার ঘোষণা দেয়। তারা ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। ইসলামি বিপ্লবের পর ইরান সরকার আমেরিকা এবং ইসরায়েলকে তার জন্য হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করে। একইসঙ্গে ফিলিস্তিনকে সমর্থন দেয়ার নীতি গ্রহণ করে। অন্যদিকে ইরানের এমন উত্থানকে হুমকি হিসেবে বিবেচনা করতে শুরু করে ইসরায়েল। বর্তমানে ইরান-ইসরায়েল বৈরিতার মূল বিষয় হয়ে ওঠেছে পরমাণু অস্ত্র। ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির দ্বারপ্রান্তে এমন অভিযোগের ধুয়ো তুলছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের অভিযোগগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- প্রথমত: ইরান দূরপাল্লার মিসাইল তৈরির চেষ্টা করছে। দ্বিতীয়ত, ইরান পরমাণু প্রকল্প গ্রহণ করছে। ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে ইসরায়েল তার অস্তিত্বের জন্য হুমকি হিসেবে দেখে। ইসরায়েল এবং বেশ কয়েকটা পশ্চিমা দেশ সন্দেহ করে ইরান গোপনে ‘ব্রেকআউট সক্ষমতা’ গড়ে তুলছে। ‘ব্রেকআউট সক্ষমতা’র অর্থ হলো কোনো দেশের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি ও তা দ্রুত মোতায়েন করার ক্ষমতা। এখান থেকে ফেরার কিন্তু কোনো পথ নেই। ইরানের এমন দুটি সামরিক প্রকল্পকে হুমকি হিসেবে দেখছে ইসরায়েল। ফলে তারা ইরানের সামরিক উচ্চাকাক্সক্ষা বিশেষত পরমাণু প্রকল্প ভেস্তে দিতে শুরু করে নানা অন্তর্ঘাতমূলক পদক্ষেপ। আর তৃতীয় অভিযোগটি হচ্ছে- মধ্যপ্রাচ্যে ইরান তার প্রভাব বলয় বৃদ্ধিকল্পে নানান জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রত্যক্ষ মদদ ও সহায়তা দিচ্ছে। ইসরায়েলের অভিযোগ ইরানের প্রত্যক্ষ সহায়তায় লেবাননে গড়ে ওঠেছে হিজবুল্লাহ, ফিলিস্তিনিতে হামাস, ইসলামিক জিহাদ, ইয়েমেনের হুতি সশস্ত্র বিদ্রোহী। ইরান নিজেদের প্রভাব বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে হামাস ও ইসলামিক জিহাদকে অস্ত্র ও অর্থ সহায়তা করেছে বলেও বিস্তর অভিযোগ।
মধ্যপ্রাচ্যে ইরান এবং ইসরায়েল এই দ্বৈরথের মূলে আছে আধিপত্য বিস্তারের অসহনীয় প্রতিযোগিতা। আর এই প্রতিযোগিতায় নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণ দিতে লিপ্ত হচ্ছে আগ্রাসী আক্রমন ও যুদ্ধে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের ১ এপ্রিল, ইসরায়েল সিরিয়ার দামেস্কে একটি ইরানি দূতাবাস ভবনে বোমা হামলা করে, এতে একাধিক জেষ্ঠ্য ইরানি কর্মকর্তা নিহত হন। এর প্রতিক্রিয়ায় ইরান ও তার মিত্ররা ২০২৪ সালের ১৩ এপ্রিল ইসরায়েলের অভ্যন্তরে হামলা চালায় আর তার প্রতিক্রিয়া হিসেবে ২০২৪ সালের ১৯ এপ্রিল ইরানে প্রতিশোধমূলক হামলা চালায় ইসরাইল। ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামে ১৪ জুন ২০২৫ সালে ইসরায়েল ইরানের উপর নজিরবিহীন হামলা চালায়। ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামটি বেছে নিয়েছেন ওল্ড টেস্টামেন্টের একটি শ্লোক থেকে, যেখানে ‘নবী’ বালাম বলেন, ‘ইসরায়েল হলো এমন এক সিংহ, যে বিজয় নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বিশ্রাম নেয় না।’ আর তার প্রতিক্রিয়ায় প্রতিশোধমূলক হামলা চালায় ইরানও। এই যুদ্ধের ক্ষয়-ক্ষতির সঠিক হিসাব এই মুহুর্তে কষা না গেলেও এর সুদূর প্রসারী অর্থনৈতিক ও সামরিক ক্ষতির পরিমাণ অনপনেয়।
এই হামলা প্রতিহামলায় যুদ্ধের দামামা বেজে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে। আর যুদ্ধের কারণে বিশ^বাসী শঙ্কিত। এই শঙ্কার কারণ দ্বিবিধ। প্রথমত: এই যুদ্ধের ভয়াবহ পরিণাম হিসাবে তৃতীয় বিশ^যুদ্ধের সম্ভাবনা। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রসমূহ তাদের বন্ধুরাষ্ট্রের পক্ষ নিচ্ছে। রাশিয়া, চীন, উত্তর কুরিয়া, পাকিস্তান প্রভৃতি রাষ্ট্র ইরানকে সমর্থন দিচ্ছে আবার যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বহু রাষ্ট্র ইসরায়েলের পক্ষ নিচ্ছে। যা দ্বারা বিশ্বের রাজনৈতিক ও সামরিক মেরুকরণ ঘটছে। আর এই পক্ষসমূহ যদি প্রত্যক্ষভাবে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে তাহলে আসন্ন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধই বিশ্ববাসী দেখতে পাচ্ছে। এর ফলে বিশ্ব নিরাপত্তা হুমকীর মুখে পড়বে। দ্বিতীয়ত: অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা। ইরানের সঙ্গে বৃহৎ পরিসরে যুদ্ধ শুরু হলে তার ব্যয় ১২০ বিলিয়ন বা ১২ হাজার কোটি ডলার পর্যন্ত উঠতে পারে-এমন আশঙ্কা করেছেন ইসরায়েলি অর্থনীতিবিদ ইয়াকভ শেইনিন। এই ব্যয় দেশটির মোট জিডিপির ২০ শতাংশ। ইরান অনেক আগে থেকেই অর্থনৈতিক সংকটে আছে। তাদের তেল রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হয়েছে; সেই সঙ্গে মুদ্রার দরপতন অব্যাহত আছে আর মূল্যস্ফীতি প্রায় ৪০ শতাংশ। তেল রপ্তানি আরও বাধাগ্রস্ত হলে সারা বিশ্বেই তার প্রভাব পড়বে। ইরানে ইসরায়েলি হামলার পর জ্বালানি তেলের দাম এক লাফে ১৩ শতাংশের কাছাকাছি বেড়ে গেছে, যা কয়েক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। অপরিশোধিত ব্রেন্টের দাম ব্যারেল প্রতি ৬ ডলার ১৯ সেন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৭৫ ডলার ৫৫ সেন্টে, যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৮ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি। বিশ্বে যে পরিমাণ তেল ব্যবহার হয়, তার প্রায় এক-পঞ্চমাংশ হরমুজ প্রণালী দিয়ে পরিবহন করা হয়। সে হিসাবে, হরমুজ প্রণালী দিয়ে প্রতিদিন তেল আনা-নেওয়া হয় ১৮ থেকে ১৯ মিলিয়ন ব্যারেল। মধ্যপ্রাচ্যের জ্বালানি বাজার ও বাণিজ্য বিপর্যস্ত হতে পারে। এর অভিঘাত সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে। এফএক্স স্ট্রিটের ২০১৯ সালের এক বিশ্লেষণে বলা হয়, তেলের দাম ১০ শতাংশ বাড়লে পরের এক বছরে ভোক্তা মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। এছাড়া যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে পুঁজিবাজারেও। অনেক বিনিয়োগকারী সোনা ও সুইস মুদ্রার মতো নিরাপদ আশ্রয়ে ঝুঁকছেন। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ভারতসহ বিশে^র বিভিন্ন দেশের পুঁজিবাজারে অস্বাভাবিক দরপতন হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ধাক্কা খেয়েছে জার্মানির ডিএএক্স সূচক। যুক্তরাষ্ট্রের এসঅ্যান্ডপি ৫০০ ও নাসডাক সূচকেরও পতন হয়। এর সাথে খরচ বেড়েছে বিমান পরিবহনেও। এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ আমেরিকার অনেক বিমান মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতপূর্ণ আকাশসীমা এড়িয়ে দুরবর্তী পথে যাত্রা করায় এ খরচ বেড়েছে। খাদ্যদ্রব্য সরবরাহেও পড়েছে যথেষ্ট প্রভাব। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেট জানায়, সুপারমার্কেট চেইন ক্যারেফোরে এক দিনেই ৩০০ শতাংশ ক্রেতা বেড়েছে। ক্রমান্বয়ে খাদ্যসংকটের প্রভাব পুরো বিশ্বকে বিপর্যস্ত করে দিতে পারে। এই যুদ্ধোন্মুখ সময়ে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের প্রাদূর্ভাব নিয়ে চিন্তিত বিশ^সম্প্রদায়। আর এই যুদ্ধ স্বাস্থ্যসেবা খাতেও দুর্বিসহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে। তাই এই যুদ্ধের রাশ টানা জরুরি। এই কাজটি করতে পারে জাতিসংঘ, ইউরোপ ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহের নিরপেক্ষ যুদ্ধবিরোধী ক‚টনীতি।
লেখক: প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট