পূর্বদেশ ডেস্ক
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এবং সামরিক নেতৃত্বকে ধ্বংসের লক্ষ্যে ইসরায়েল গত শুক্রবার যে নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছে, তার জেরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ দুটি পাল্টাপাল্টি প্রাণঘাতী হামলা অব্যাহত রেখেছে।
সিএনএন লিখেছে, ইরান গত শনিবার দিনভর ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন পাঠিয়েছে। একই সময় ইসরায়েলও ইরানি লক্ষ্যবস্তুর ওপর নতুন করে বিমান হামলা চালিয়েছে। ইরান দাবি করেছে, তাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্র এবং একটি তেল ডিপোতে ইসরায়েল আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।
তেল আবিব, হাইফা ও জেরুজালেমের আকাশে শনিবার ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন, প্রতিরক্ষামূলক রকেট ও বিস্ফোরণের আলো দেখা যায়। উভয় পক্ষই আরও আক্রমণের হুমকি দিয়েছে।
গত শুক্রবার ভোররাতে ইসরায়েলের সামরিক ও গোয়েন্দা অভিযান ছিল নজিরবিহীন। তার প্রতিক্রিয়ায় ইরান ‘ধ্বংসাত্মক জবাব’ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ক্রমবর্ধমান সংঘাতের ফলে পুরো মধ্যপ্রাচ্য একটি বিস্তৃত যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। খবর বিডিনিউজ’র
ইসরায়েল ও ইরানের পাল্টাপাল্টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা : ইরানে শুক্রবার ভোরের আলো ফোটার ঠিক আগে পারমাণবিক স্থাপনা নিশানা করে প্রথম হামলা চালায় ইসরায়েল। ‘রাইজিং লায়ন’ নামের এই অভিযানে দুটি অংশ ছিল- ইরানের অন্তত একটি পরমাণু সমৃদ্ধকরণ স্থাপনায় ভারী বিমান হামলা; আর তেহরানে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে হামলা করে সামরিক নেতৃত্বকে শেষ করার চেষ্টা।
তেহরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দিকে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে দাবি করে ইসরায়েল বলেছে, সেই প্রক্রিয়া থামানোই ছিল এ অভিযানের উদ্দেশ্য।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের শুক্রবারের বৈঠকে ইরানের রাষ্ট্রদূত আমির সাঈদ ইরাভানি জানান, ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৭৮ জন নিহত এবং ৩২০ জন আহত হয়েছেন। হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। সিএনএন লিখেছে, দীর্ঘদিনের হুমকি এবং সা¤প্রতিক আশঙ্কার মধ্যে ইসরায়েল এই আক্রমণ চালায় যুক্তরাষ্ট্রে সমর্থন ছাড়াই।
প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনও দাবি করেছে, ইসরায়েল একতরফাভাবে হামলা চালিয়েছে, এর সঙ্গে ওয়াশিংটনের ‘সম্পৃক্ততা’ ছিল না।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, হামলার ‘ধ্বংসাত্মক জবাব’ দিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় দূরপাল্লার ‘শত শত’ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। তেহরান দাবি করেছে, তারা ইসরায়েলের সামরিক-শিল্প কেন্দ্রগুলোতে হামলা চালিয়েছে, যেগুলো ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম তৈরি করে। কিন্তু ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেছেন, ইরান বেসামরিক জনবসতির ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ‘রেড লাইন’ অতিক্রম করেছে। এজন্য তাদের ‘চরম মূল্য’ দিতে হবে।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বলেছে, ইরানের হামলায় সবমিলিয়ে আটজন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ২০০ জন। সিএনএন লিখেছে, শুক্রবার রাত থেকে শনিবার পর্যন্ত ইরান ও ইসরায়েল প্রাণঘাতী ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে থাকে। দুই দেশেই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়; সাধারণ মানুষ ভূগর্ভস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
ইসরায়েলে ভেঙে পড়া ঘরবাড়ি ও বাড়িতে মানুষ আটকা পড়ায় শনিবার উদ্ধারকারী দল তৎপরতা চালায়। জেরুজালেম ও তেল আবিবেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
ইসরায়েলি বিমান বাহিনী বলেছে, তারা রাতে তেহরানের প্রতিরক্ষা অবকাঠামোর ওপর হামলা চালিয়েছে। আর ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দুটি ইরানি বিমানঘাঁটিতে হামলার কথা জানিয়েছে, যেগুলো ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন পরিচালনায় ব্যবহৃত হত।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক হুমকি নির্মূলে ‘যতদিন প্রয়োজন, ততোদিন’ ইসরায়েলের অভিযান চলবে। তবে নিজেদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ দাবি করে তেহরান বলছে, ‘জবাব দেওয়া ছাড়া আর কোনো বিকল্প তাদের নেই’।
কোথায় ও কখন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল : ১৯৮০ এর দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের পর একদিনে এতো বড় আক্রমণ দেখেনি ইরান। দেশটির রাজধানী তেহরানসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে হামলা চালায় ইসরায়েল।
সিএনএন লিখেছে, তেহরানে প্রথম বিস্ফোরণ হয় স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে। সিএনএনের যাচাই করা ভিডিওতে দেখা যায়, শহরের বিভিন্ন স্থানে আগুন ও ধোঁয়া উড়ছে।
তেহরানের বাসিন্দারা হতভম্ব হয়ে পড়েন। এত তাড়াতাড়ি ইসরায়েল হামলা করবে অনেকেই ধারণা করেননি। ১৭ বছর বয়সী এক ইরানি বলেন, “আমি বুঝতেই পারিনি কী ঘটছে। খুব ভয়ঙ্কর ছিল।”
তেহরানে বিস্ফোরণ ঘটনোর পরপরই দেশজুড়ে আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল। দেশটির সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তেহরানে বিস্ফোরণের পর তারা বিভিন্ন এলাকার পারমাণবিক স্থাপনাসহ ডজনখানেক সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।
ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণের প্রধান কেন্দ্র নাতানজে একটি বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে, যা তেহরান থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
নাতানজ আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়ে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) বলেছে, তবে আশেপাশে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা বাড়ার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। পরে ইসরায়েল দাবি করে, তারা ইস্পাহান অঞ্চলের আরেক পারমাণবিক স্থাপনাতেও হামলা চালিয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বিশ্বের বৃহত্তম প্রাকৃতিক গ্যাসক্ষেত্র ‘সাউথ পার্স’-এ শনিবার আগুন ধরে যায়।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও এবং সিএনএনের যাচাই করা ভিডিওতে দেখা যায়, দক্ষিণ ইরানের বুশেহর প্রদেশের গ্যাসক্ষেত্রটি থেকে বিশাল আগুন ও ধোঁয়ার কুÐলী উঠে আসছে।
এই গ্যাসক্ষেত্রটি ইসরায়েলি ড্রোন হামলার শিকার হয়েছে বলে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম খবর দিয়েছে। পরে শাহরান তেল ডিপো এবং তেহরানের কাছের একটি ফুয়েল ট্যাংকে বড় আগুনের খবর পাওয়া গেছে।
ইসরায়েল কী বলছে : পাল্টাপাল্টি আক্রমণের মধ্যে নেতানিয়াহু শনিবার ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ইরানের সব লক্ষ্যে হামলা চালাবে ইসরায়েল। “নিকট ভবিষ্যতে তেহরানের আকাশে ইসরায়েলি প্লেন, ইসরায়েলি বিমান বাহিনী, আমাদের সাহসী পাইলটদের আপনি দেখতে পাবেন। আমরা আয়াতুল্লাহর সব স্থাপনা ও লক্ষ্যে হামলা চালাব।”
এর আগে নেতানিয়াহু বলেছিলেন, যতক্ষণ না হুমকি দূর হবে, ততক্ষণ ইসরায়েল অভিযান চালিয়ে যাবে।
নেতানিয়াহু দাবি করেন, ইরান গত কয়েক বছরে এত পরিমাণ উচ্চমাত্রার সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন করেছে যে তা দিয়ে নয়টি পারমাণবিক বোমা বানানো সম্ভব।
তিনি বলেন, “ইরান খুব অল্প সময়ের মধ্যে একটি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে পারে। হয়ত এক বছরের মধ্যে, অথবা কয়েক মাসের মধ্যে। এটি ইসরায়েলের অস্তিত্বের জন্য সরাসরি হুমকি।”
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ এক্স পোস্টে একটি ভিডিও জুড়ে বলেন, “তেহরান জ্বলছে।” ওই ভিডিওতে ইরানের শহরের কাছে বড় অগ্নিকাÐ দেখা যায়। ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স- আইডিএফ বলেছে, তারা ইরানের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণস্থল ও অস্ত্রাগার ধ্বংস করেছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে ইরানের জনগণের উদ্দেশে নেতানিয়াহু এক ভিডিও বার্তায় বলেন, “আরও কিছু আসছে। উঠে দাঁড়ান, আপনার কণ্ঠস্বর তুলুন।” তিনি বলেন, ইসরায়েলের যুদ্ধ ইরানি জনগণের বিরুদ্ধে নয়, বরং ইরানি সরকারের বিরুদ্ধে।
ইসরায়েল কাদের হত্যা করেছে : ইসরায়েলের হামলায় ইরানের সামরিক বাহিনী ও পারমাণবিক কর্মসূচির শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে সবচেয়ে উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তি হলেন- ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি।
ইসরায়েল জানায়, তারা ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি; সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির ঘনিষ্ঠ সহযোগী আলি শামখানি এবং আইআরজিসির এয়ার ফোর্স কমান্ডার আলি হাজিজাদেহকেও হত্যা করেছে।
আইডিএফ জানায়, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সংশ্লিষ্ট নয়জন বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞও নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন মেকানিক্স বিশেষজ্ঞ আলি বাখৌয়ি কারিমি, পদার্থবিদ্যার বিশেষজ্ঞ মনসুর আসগারি, এবং মেটেরিয়াল ইঞ্জিনিয়ার সাঈদ বারজি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া কী : তেহরানের পরমাণু কর্মসূচি প্রশ্নে কূটনৈতিক পথ খোঁজা ট্রাম্প প্রশাসন নিজেদের ইসরায়েলের হামলা থেকে দূরে রেখেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, ইসরায়েলের কর্মকাÐ ছিল ‘একতরফা’। যদিও ইসরায়েল হামলার বিষয়ে আগেই যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছিল, তবে রুবিওর দাবি, যুক্তরাষ্ট্র এই হামলায় ‘জড়িত ছিল না’। তিনি বলেন, “মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকান সেনাদের সুরক্ষাই আমাদের শীর্ষ অগ্রাধিকার।”
সিএনএন লিখেছে, চলতি সপ্তাহেই মধ্যপ্রাচ্য থেকে কিছু কর্মীকে সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নেয় যুক্তরাষ্ট্র, যা সম্ভাব্য ইসরায়েলি হামলার ইঙ্গিত দেয়।
দুই ইসরায়েলি সূত্রের বরাতে সিএনএন লিখেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে ইসরায়েলকে সহায়তা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আরেক সূত্র জানায়, ওই অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোও ইসরায়েলের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সহায়তা করেছে। ‘সবকিছু শেষ হওয়ার আগে’ নতুন একটি পারমাণবিক চুক্তিতে সম্মত হতে ইরানের প্রতি আহবান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, পরবর্তী ইসরায়েলি হামলা ‘আরও নির্মম’ হতে পারে।
ট্রাম্প বলেন, একটি চুক্তির জন্য তিনি ইরানকে ‘বারবার সুযোগ’ দিয়েছেন। তিনি ট্রুথ সোশালে লেখেন, “খুব দেরি হওয়ার আগে এখনই (চুক্তি) করুন।”
আগের চুক্তির কী হল : যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময় ২০১৫ সালে একটি পারমাণবিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, যার নাম জয়েন্ট ক¤িপ্রহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ)।এই চুক্তিতে ইরান প্রতিশ্রুতি দেয়- তারা তাদের সেন্ট্রিফিউজের সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমাবে এবং ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা অস্ত্র নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় স্তরের নিচে রাখবে। এর বিনিময়ে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার কথা ছিল।
কিন্তু ২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসেন। তার ভাষায়, ইরানকে পারমাণবিক বোমা বানানো থেকে দূরে রাখতে এই ‘পচা কাঠামো’ যথেষ্ট নয়। তিনি ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করেন এবং পরমাণু অস্ত্র তৈরিতে ইরানকে কোনো দেশ সহায়তা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেন।
ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে ইরানের সঙ্গে নতুন পারমাণবিক চুক্তির চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ইসরায়েলের হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে ট্রাম্প সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে যখন আলোচনা চলছে, তখন ইসরায়েলের হামলা ‘সব নষ্ট করে দিতে পারে’।
তিনি বলেন, “যতক্ষণ পর্যন্ত একটি চুক্তির সম্ভাবনা আছে, ততোক্ষণ পর্যন্ত তারা (ইসরায়েল) আক্রমণ করুক- এটা আমি চাই না। এটা হয়ত সহায়তা করবে, কিন্তু সব নষ্টও করে দিতে পারে।”