আন্তজার্তিক ডেস্ক
ইয়েমেনের পশ্চিমাঞ্চলে হুতি নিয়ন্ত্রিত দুটি বন্দর লক্ষ্য করে শুক্রবার (১৬ মে) ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে হুতি বিদ্রোহীদের ক্রমাগত ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার জবাবে এই অভিযান চালানো হয়।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, এই অভিযানে মোট ১৫টি যুদ্ধবিমান অংশ নেয় এবং তারা হোদেইদা ও সালিফ বন্দরে প্রায় ৩৫টি বোমা নিক্ষেপ করে। হামলায় বন্দরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে। অভিযানে বিমান রিফুয়েলার ও নজরদারি বিমানও অংশ নেয়। এই সপ্তাহের শুরুতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী পশ্চিম ইয়েমেনের হোদেইদা, সালিফ ও রাস ইসা—এই তিনটি বন্দর থেকে সাধারণ জনগণকে সরে যেতে সতর্কবার্তা দিয়েছিল। তবে শুক্রবারের হামলায় রাস ইসা বন্দরকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি। হুতি নিয়ন্ত্রিত আল মাসিরাহ টিভিও হোদেইদা ও সালিফ বন্দরে ইসরায়েলি হামলার খবর নিশ্চিত করেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ এখনও স্পষ্ট নয়, এবং এখনো পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এই হামলা এমন সময়ে ঘটল যখন চলতি মাসের শুরুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুক্তরাষ্ট্র ও হুতি বিদ্রোহীদের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতির চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ওই চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনের ওপর হামলা বন্ধ করে এবং হুতিরাও রেড সি অঞ্চলে মার্কিন জাহাজে হামলা বন্ধে সম্মত হয়। তবে ইসরায়েল এই চুক্তির অংশ ছিল না। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহেই ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলের দিকে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়, যেগুলোর বেশিরভাগই প্রতিহত করা হয়েছে। শুক্রবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে বলেন, এই হামলা কেবল শুরু। হুতিদের হামলার পেছনে রয়েছে ইরান। তিনি আরও বলেন, আমরা চুপচাপ বসে থাকব না। হুতিদের পক্ষ থেকে আমাদের ওপর হামলা হলে, আমরা তাদের নেতৃত্ব এবং সব ধরনের অবকাঠামো ধ্বংস করে জবাব দেব।
এই বিবৃতি ইসরায়েলি সরকারের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।