নিজস্ব প্রতিবেদক
যৌতুক প্রথা বন্ধে ইমাম-খতিবদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহবান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। গতকাল শনিবার সকালে নগরের ষোলশহরস্থ এলজিইডি ভবন মিলনায়তনে আয়োজিত এই মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘বিভিন্ন ফোরামে ইমাম-খতিবদের কথা বলার সুযোগ আছে। সেটাকে অবশ্যই কাজে লাগাতে হবে। আমরা সবাই জানি, যৌতুক দেয়া-নেওয়া সমান অপরাধ। যৌতুক সমাজের অভিশাপ। কিন্তু শুধু স্লোগান, ব্যানার, ফেস্টুন দিয়ে যৌতুক বন্ধে কাক্সিক্ষত ফল পাওয়া যাবে না। যৌতুক বন্ধ করতে ইমাম-খতিবদের কথা বলতে হবে’।
বাংলাদেশ মুসলিম নিকাহ্ রেজিস্ট্রার ফোরামের উদ্যোগে বাল্যবিবাহ নিরোধকল্পে কনের স্থায়ী ঠিকানার কাজী কর্তৃক বিবাহ ও তালাক নিবন্ধন আইন প্রণয়ন এবং বাংলাদেশ সরকারের সংস্কার কমিশন কর্তৃক বিবাহ নিবন্ধন ফি তিন ভাগে ভাগ করার সুপারিশের বিষয়ে বিবাহ রেজিস্ট্রারদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় বিয়ে নিবন্ধন নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ করে ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘বিয়ে নিবন্ধনের সময় কাজী ও সহকারীরা অনেক সময় সরকারি বিধান মানেন না। তারা অতিরিক্ত ফি আদায় করেন। এটা বন্ধ করতে হবে। ফি আদায়ের রশিদ দিতে হবে’।
সভায় ধর্ম উপদেষ্টা বাংলাদেশ মুসলিম নিকাহ্ রেজিস্ট্রার ফোরামকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে রাখার অনুরোধ করেন। এছাড়া উপদেষ্টা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ‘অল্পদিনের মধ্যে’ ছয় লেনে উন্নীত হবে বলে আশ্বাস দেন। সভায় ফোরামের নেতারা বাল্যবিয়ে বন্ধে কনের স্থায়ী ঠিকানায় কাজী অফিসে বিয়ে নিবন্ধন এবং এর ফি তিনভাগে ভাগ করার জন্য সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাতিল এবং বিয়ের জন্য বরের বয়স ২০ ও কনের বয়স ১৬ করার দাবি তোলেন। উপদেষ্টা এসব দাবি সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলে তোলার আশ্বাস দেন।
ফোরামের সভাপতি কাজী সৈয়দ মো. আবু সাঈদের সভাপতিত্বে এবং ফোরামের সাধারণ সম্পাদক কাজী মহিউদ্দিন মোহাম্মদ সাদেকের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসান আলী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক, মোহাম্মদ আলমগীর হোসাইন, বাংলাদেশ রেজিস্ট্রার সার্ভিসেস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও জেলা রেজিস্ট্রার খন্দকার জামিলুর রহমান, বাংলাদেশ মুসলিম নিকাহ্ রেজিস্ট্রার কল্যাণ সমিতির নির্বাহী সভাপতি অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া আজহারি, সভা বাস্তবায়ন কমিটির আহব্বায়ক কাজী মুহাম্মদ ইউসুফ, কাজী শাকের আহমদ চৌধুরী, রাউজান বাঘমারা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী মোহাম্মদ আবুল বশর, কাজী আবু জাফর মুনিরী, কাজী হাসানুল করিম মুনিরী, কাজী ছাবের হেলী, কাজী সোলায়মান চৌধুরী, কাজী সৈয়দ আহমদ, কাজী সৈয়দ মাহমুদুল হক নঈমী প্রমুখ।