ইভিএমে ভুলত্রুটি ছিল ‘দুর্ভাগ্যজনক’: সিইসি

64

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণে কোথাও কোথাও ‘ভুলত্রুটি ও অসুবিধা’ হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। বিষয়টিকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে ইভিএমের ত্রুটি শনাক্ত করে সেসব সংশোধনের কথা বলেছেন তিনি।
বুধবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী কর্মকর্তা প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং ইভিএমে ভোটগ্রহণ প্রশিক্ষণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন সিইসি। খবর বিডিনিউজের
বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের বিরোধিতার সত্ত্বেও গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথম ইভিএমে ভোট হয় ছয়টি আসনে। যেসব আসনে ইভিএমে ভোট নেওয়া হয় সেগুলো হল: ঢাকা-৬, ঢাকা-১৩, চট্টগ্রাম-৯, রংপুর-৩, খুলনা-২ এবং সাতক্ষীরা-২।
ভোটের আগে এসব আসনে ইভিএমের ওপর অনুশীলনমূলক (মক) ভোটও করে নির্বাচন কমিশন; ভোটারও আশায় ছিলেন, ইভিএমে যেন গড়বড় না হয়। ভোটের দিন ইভিএমের সবকটি আসনেই মেশিনে ভোট দিতে পেরে সন্তুষ্টির কথা ভোটাররা জানালেও কোথাও কোথাও বিড়ম্বনায়ও পড়তে হয়।
৩০ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের কাজীর দেউড়ির একটি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণে যান্ত্রিক ত্রæটি, আঙুলের ছাপ না মেলাসহ কিছু জটিলতার কথা ভোটের দিন জানিয়েছিলেন ভোটাররা।
বুধবারের অনুষ্ঠানে সিইসি নূরুল হুদা বলেন, “সংসদ নির্বাচনে ছয়টি নির্বাচনী এলাকায় আমরা ইভিএম ব্যবহার করেছি। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, সেটাতে কোথাও কোথাও ভুলত্রæটি ছিল, অসুবিধা ছিল।”
নতুন একটি পদ্ধতি প্রয়োগের সময় এমন সমস্যা হতে পারে বলে মনে করেন সিইসি। “একেবারে হতে পারে না এটা আমি বলব না। তবুও আপনাদের সাবধানতা, সতর্কতা যদি বেশি থাকে তাহলে সেরকম ভুল হওয়া উচিত ছিল না,” কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন তিনি।
“ইভিএম নিয়ে আমরা অনেক কথা বলেছি। ইভিএম আমরা ধারণ করি। ইভিএমের উপরে আমাদের আস্থা, বিশ্বাস নানা কারণে। এ কথা আপনাদের সামনে আমরা বারবার বলেছি। যতœসহকারে এর প্রশিক্ষণ নেবেন এবং প্রশিক্ষণ দেবেন।”
জনগণ যেন আস্থার সংকটে না পড়ে সেজন্য ইভিএমের ভুলত্রুটি রোধে সংশ্লিষ্টদের নজর দিতে নির্দেশ দেন তিনি।
ইভিএমের ত্রুটি সংশোধনের তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, “আমরা বলেছিলাম এটা এমন একটা সিস্টেম যে আধা ঘণ্টা, এক ঘণ্টার মধ্যে জনগণের কাছে তুলে দেব। আমরা সেটি পারিনি। কেন পারিনি সে কারণগুলো নির্ধারণ করতে হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের কি ভুল ছিল সেগুলো শনাক্ত করতে হবে। সেগুলো সংশোধন করতে হবে।”
মার্চের দ্বিতীয়ার্ধে উপজেলা ভোট শুরুর কথা রয়েছে; ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে তফসিল দেওয়া হবে। দেশের সদর উপজেলাগুলোতেও ইভিএমে ভোট করার পরিকল্পনা রয়েছে ইসির।