ইউএনও’র ফোন নম্বর ক্লোন করে প্রতারণা

52

ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মুশফিকুর রহমানের সরকারি মুঠোফোন নম্বর ক্লোন করে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি ফটিকছড়ি থানা পুলিশকে জানিয়েছেন ইউএনও। পাশাপাশি সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে এ ধরনের প্রতারণার শিকার হলে দ্রুত প্রশাসনকে অবহিত করার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, একটি চক্র ফটিকছড়ি ইউএনও’র ব্যবহৃত সরকারি মুঠোফোন নম্বর (০১৭৩৩৩৩৪৩৪৮) ক্লোন করে বিভিন্ন বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার অধ্যক্ষের কাছে ফোন করে ল্যাপটপ কম্পিউটার প্রদানের কথা বলে অর্থ দাবি করছে।
ফোন করে বলা হচ্ছে, ‘অধ্যক্ষ/সুপার/প্রধান শিক্ষক সাহেব আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলছি, আপনার নামে একটি ল্যাপটপ কম্পিউটার বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। এটা নিতে আপনি দ্রুত আমার নম্বরে (আরেকটি নম্বর) বিকাশ করে ৬ হাজার ৫০০ টাকা পাঠান।’
বিষয়টি অবগত হওয়ার পর গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে ইউএনও’র মুঠোফোন নম্বরটি ক্লোনিং হওয়ার কথা জানানো হয়।
কাঞ্চনগরহাট ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. হারুনুর রশীদ জানান, ‘সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে আমাকে ওই চক্রটি ইউএনও’র পরিচয় দিয়ে তার মুঠোফোন থেকে বলেন, আপনার মাদ্রাসার নামে একটি ল্যাপটপ কম্পিউটার বরাদ্দ এসেছে। যদি নিতে চান তাহলে ৬ হাজার ৫০০ টাকা বিকাশ করতে হবে। ইউএনও’র কন্ঠ আমার পরিচিত, আমি বিষয়টি বুঝতে পেরে ফোন কেটে দিয়েছি। পরে বিষয়টি ইউএনওকে জানালে তিনি সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।’
এভাবে উপজেলার নুর আহাম্মদ ইঞ্জিনিয়ার মেমোরিয়াল উচ্চবিদ্যালয়, বাগান বাজার করালিয়া তাকিয়া দাখিল মাদ্রাসাসহ আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে অর্থ চেয়েছে।
জানতে চাইলে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘আমি কোনো অধ্যক্ষ, সুপার বা শিক্ষককে ফোন করিনি। কোনো একটি চক্র আমার নাম ব্যবহার করে ল্যাপটপ কম্পিউটার বরাদ্দের নামে অর্থ দাবি করেছে। বিষয়টি আমি দ্রুত থানা পুলিশকে জানিয়েছি এবং সকলকে সতর্ক করে বলা হয়েছে তারা যেন এ ধরনের কোনো ফোন পেয়ে অর্থ লেনদেন না করেন।’
ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাবুল আখতার বলেন, ‘মুঠোফোন ক্লোনের খবর ইউএনও দিয়েছেন। আমরা এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।’