আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আনার জন্য বিদেশি কোনো চাপ নেই বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, নির্বাচন কমিশন বার বার বলেছে, আওয়ামী লীগ আর নির্বাচন করতে পারে না। দেশি-বিদেশি কোনো ধরনের চাপ নেই, আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে ফিরিয়ে আনার জন্য। বরং সবাই বলছেন, এত হত্যাযজ্ঞ করেছে তারা। জুলাই-অগাস্টে শত শত ছাত্র ও সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করেছে তারা। এত মানুষ হত্যা করার পরও আওয়ামী লীগ অনুতপ্ত হচ্ছে না। শুক্রবার মাগুরা সদর উপজেলার নবগঙ্গা নদীর তীরে জুলাই-অগাস্ট স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। খবর বিডিনিউজের
নির্বাচন পদ্ধতি সংস্কার নিয়ে শফিকুল আলম বলেন, আগে নির্বাচনে একটি আসনে একজন প্রার্থী দেখা যেত, আর কোনো প্রার্থী নেই। সেই একজন প্রার্থীর ক্ষেত্রে বিধানটা থাকবে আরপিওতে, এই বিধানটা আনা হচ্ছে। আপনি না ভোট দিতে পারবেন। এটা করার প্রধান কারণ আপনারা জানেন যে, ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারি নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের এইচটি ইমামসহ যারা ছিলেন, তারা এমন একটা ‘মেনুকুলেট’ করলেন। ১৫৪টি আসনে ভোটে তারা এককভাবে প্রার্থী হয়ে জিতে গেলেন। নির্বাচন হওয়ার আগে ১৫৪টি আসনে জিতে গেল। নির্বাচন হল না। আপনি ভোট দিতে পারলেন না। আওয়ামী লীগের সব প্রার্থী জিতে গেল। এটার জন্য মূল দায়িত্বে ছিলেন এইচটি ইমামসহ আওয়ামী লীগের নেতারা। এ রকম নির্বাচন যেন বাংলাদেশে আর না হয়, মানুষ যেন তার ভোটটা প্রার্থীকে দিতে পারেন, সেই জন্য বিধানটা করা হচ্ছে বলে জানান প্রেস সচিব।
শফিকুল আলম বলেন, ‘জুলাই সনদ’ সাইন হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনে অনুষ্ঠানে সব দল একমত হয়েছে। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন হবে। এ নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ, পিচফুল ও ফ্রি-ফেয়ার হবে। এ সময় মাগুরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল কাদির এবং সদর থানার ওসি আইয়ুব আলী উপস্থিত ছিলেন।











