আ জ ম নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বে প্যানেল জমা, দু’টি পদে বাগড়া

111

চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচনকে ঘিরে সৃষ্ঠ উত্তাপ আস্তে আস্তে কমে আসছে। বলা যায়, একপ্রকার নিভেই গেছে। কারণ দু’জন ছাড়া প্রতিদ্ব›দ্বীই নাই। সেই দু’জনও যে তাদের প্রার্থিতা ধরে রাখবে সে ব্যাপারে প্রশ্ন রয়েছে। আজ মনোনয়নপত্র বাছাই করে ৮ ডিসেম্বর প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর দিন প্রত্যাহারের সময় রয়েছে। এদিনই বোঝা যাবে, ঐ দুই পদে নির্বাচন হচ্ছে কি না। তবে স্টেডিয়াম পাড়ায় গুঞ্জন আছে, সবাই যেখানে এক হয়েছে সিটি মেয়রের নেতৃত্বে সেখানে ¯্রােতের বিপক্ষে গিয়ে লাভ তো হবেইনা, বরং হিতে বিপরীত হতে পারে।
টানা দু’বারের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনকে কেন্দ্রে রেখে সমঝোতার মাধ্যমে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা (সিজেকেএস)র কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনের নমিনেশন দাখিল করলেন প্রার্থিরা। গতকাল শেষ দিনে মেয়রের নেতৃত্বে ২৬ জন নমিনেশন ফরম দাখিল করেন। তবে সবগুলো পদে মনোনীত ব্যক্তিরাই নমিনেশন দাখিল করলেও সমস্যা দেখা দিয়েছে কোষাধ্যক্ষ ও নির্বাহী সদস্যের পদ নিয়ে। ফলে উল্লেখিত পদগুলোর দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিষয়টি সুরাহা না হলে শেষ পর্যন্ত কোষাধ্যক্ষ ও সদস্য পদে নির্বাচন ছাড়া গত্যন্তর থাকবে না।
গতকাল যে ২৬ জনের নমিনেশন ফরম নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হয়েছে তাতে প্রথমবারের মত সিজেকএস কার্যনির্বাহী কমিটিতে স্থান পেয়েছেন ৫ জন-মোহাম্মদ শাহজাহান, হাসান মুরাদ বিপ্লব, মো: জমির উদ্দিন (বুলু), মো: আব্দুল বাসেত ও নাসির মিঞা।।
এর মধ্যে সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট শাহীন আফতাবুর রেজা চৌধুরী ও মো: হাফিজুর রহমান এবং নির্বাহী সদস্য থেকে পদোন্নতি পেয়ে দিদারুল আলম চৌধুরী ও একেএম এহেছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল আগের কমিটির সহসভাপতি মোজাম্মেল হক ও দুইবারের নির্বাচিত সাবেক সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহেদ আজগর চৌধুরীর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।
সাধারণ সম্পাদক পদে ফরম দাখিল করেছেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক হতে যাচ্ছেন তিনি। অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক পদে বহাল থাকার জন্য ফরম দাখিল করেছেন সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম। যুগ্ম সম্পাদক পদের দুটিতে আমিনুল ইসলাম অক্ষত থাকলেও বাদ পড়েছেন শাহজাদা আলম, তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন আগের কমিটির নির্বাহী সদস্য ও তায়কোয়ান্ডো কমিটির চেয়ারম্যান মো. মশিউর রহমান চৌধুরী। কোষাধ্যক্ষ পদের জন্য টানা তিন বারের কোষাধ্যক্ষ শাহাবুদ্দীন মো. জাহাঙ্গীর আবারো ফরম দাখিল করেছেন। তবে তার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন নবীন মেলার প্রতিনিধি যুবলীগ নেতা রাশেদুল আলম।
নির্বাহী সদস্য পদের সংখ্যা ১৩। এই পদের জন্য মনোনীত করা হয় আবুল হাশেম, সৈয়দ আবুল বশর, জহির আহমেদ চৌধুরী, এ.কে.এম আবদুল হান্নান আকবর, মোহাম্মদ ইউসুফ, আ.ন.ম ওয়াহিদ দুলাল, গোলাম মহিউদ্দিন হাসান, অহীদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, মোহাম্মদ শাহজাহান, হাসান মুরাদ বিপ্লব, মো: জমির উদ্দিন (বুলু), মো: আব্দুল বাসেত, নাসির মিঞা। কিন্তু এখানে বাধ সেঁধেছেন উল্লাস ক্লাবের প্রতিনিধি, সিজেকেএস রাগবি কমিটির সম্পাদক প্রবীন কুমার ঘোষ।
তিনি মনোনয়ন দাখিল করায় বেঁধে যায় গোল। উৎসবমুখর পরিবেশের নির্বাচনকে উপেক্ষা করে সমঝোতার মাধ্যমে মনোনয়ন দেয়ার প্রতিবাদস্বরূপ তিনি মনোনয়ন জমা দেন বলে জনশ্রæতি রয়েছে।
এছাড়া উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে নির্বাহী সদস্য পদে (সংরক্ষিত) প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্য্য ও হারুন আল রশীদ এবং মহিলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে নির্বাহী সদস্য পদে (সংরক্ষিত) রেখা আলম চৌধুরী, রেজিয়া বেগম ছবি মনোনয়ন দাখিল করেছেন। প্রত্যাশিত পদ এবং কমিটিতে স্থান না পেয়ে বেশ কয়েকজন সংগঠককে ক্ষোভ প্রকাশ করতেও দেখা গেছে।
মনোনয়ন পত্র জমা দিয়ে আ জ ম নাছির উদ্দীন আবারো বলেছেন, আমি এবার নির্বাচন সবার জন্য ওপেন করে দিয়েছিলাম। আগের দিন রাত বারটা পর্যন্ত আলোচনা করেও সবাইকে নির্বাচনে আনার জন্য রাজি করাতে পারিনি। প্রায় সবাই আমাকে অনেকটা বাধ্যই করেছেন সমঝোতার পথে এগুতে।
আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারেন, ইলেকশনের চাইতে সিলেকশন অনেক কঠিন। সে কঠিন কাজটা করার জন্য আমাকে কত ভাবতে হয়েছে তা নিশ্চয় বলার অপেক্ষা রাখে না। যারা ইসিতে জায়গা পান নি সাব কমিটিগুলোতে তাদের কথা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভাবা হবে। আমি সবার সহযোগিতা চাই।