আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের বেশিরভাগ পোশাক কারখানা খুলেছে। শ্রমিকরাও শান্তিপূর্ণ ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজে যোগ দিয়েছেন। আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর এসপি মো. সারোয়ার আলম বুধবার বলেন, সম্প্রতি শ্রমিক অসন্তোষ চলার বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের শ্রম আইন অনুযায়ী যেসব কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল, সেগুলোর অধিকাংশ খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো ২০টি কারখানা বন্ধ রয়েছে। সাধারণ ছুটি আছে আরও পাঁচটি কারখানায়। এ ছাড়া সব পোশাক কারখানায় পুরোদমে উৎপাদন চলছে।
বাংলাদেশ গার্মেন্ট অ্যান্ড সোয়েটার শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইনবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু বলেন, “বর্তমানে আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তবে মালিকপক্ষ ও বিজএমইএর কাছে অনুরোধ করছি, বন্ধ কারখানাগুলো খুলে দেওয়ার জন্য। না হলে এই বন্ধ কারখানাগুলোকে কেন্দ্র করে নতুন করে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হতে পারে।” খবর বিডিনিউজ’র
অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শিল্পাঞ্চলে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে, পুলিশ, র্যাব বিজিবি ও সেনা সদস্যরা টহলে রয়েছেন বলে জানান, শিল্প পুলিশের এসপি সারোয়ার আলম।
এছাড়া শিল্পাঞ্চলে অস্থিতিশীলতার নেপথ্যের ইন্ধনদাতাদের বিষয়েও বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারী।
সারোয়ার আলম বলেন, আইন মেনে ২০টি কারখানা বন্ধ রয়েছে। মালিক পক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে, পর্যায়ক্রমে কারখানাগুলো খুলে দেওয়া হবে। বাকি পাঁচটি কারখানার শ্রমিকরা কর্মস্থলে গেলেও কাজে অমনযোগিতা লক্ষ্য করায় পরে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া শিল্পাঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বিভিন্ন কারখানার সামনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়নে রাখা হয়েছে। অব্যাহত আছে যৌথ বাহিনীর টহলও।
এসপি সারোয়ার আলম আরও বলেন, বকেয়া বেতনের দাবি জানিয়ে আশুলিয়ার ইউসুফ মার্কেট এলাকার জেনারেশন নেক্সট কারখানার শ্রমিকরা কারখানার সামনে অবস্থান নেন। এছাড়া আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকার পার্ল গার্মেন্টের সামনে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান পালন করেছেন।
মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে, আশুলিয়ার লুসাকা গ্রুপের শ্রমিকরা কর্মবিরিতি পালন করছেন বলেও জানান এসপি সারোয়ার আলম।