শাহ্ মজিদিয়া ইসলামী কমপ্লেক্স ট্রাস্ট বাংলাদেশ এর ব্যবস্থপনায় আগ্রাবাদস্থ কমপ্লেক্সে ২০ দিনব্যাপী দারসুল কুরআন ও ইফতার মাহফিল ১৭ মার্চ ১৬তম রমজানের আলোচনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ এর অধ্যাপক মাওলানা ড.মুহাম্মদ এনামুল হক মুজাদ্দেদী তরিক্বতপন্থীদের জন্য মোরাকাবার গুরুত্ব ও পদ্বতি বিষয়ে বলেন, আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য মোরাকাবা হলো সহজ ও সর্বোত্তম পদ্ধতি। গভীর সাধনা ও মোরাকাবা করে যিনি নিজের ভিতরে আল্লাহ্কে খুঁজে পেয়েছেন, তিনিই প্রকৃত মু’মিন। সেজন্য নিয়মিত মোরাকাবা করতে হবে এবং মোরাকাবার মাধ্যমে নিজের মাঝে আল্লাহ্ ও রাসুল (সা.)-কে খুঁজে পেতে হবে। ইবাদতের মধ্যে মোরাকাবা হলো উত্তম ইবাদত। মোরাকাবার মাধ্যমে রিপু দমন করা যায়। আত্মার উন্নতির জন্য অধিক মোরাকাবা করতে হয়। ধ্যান বা মোরাকাবা দ্বারা ষড়রিপু দমন করা সম্ভব। মোরাকাবার মাধ্যমে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়। হযরত মোহাম্মদ (সা.) জাবালে নুরের হেরা গুহায় সুদীর্ঘ ১৫ বছর মোরাকাবার মাধ্যমে মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিনের সাথে যোগাযোগ করেন। তাই আমাদেরকেও অধিক মোরাকাবা করতে হবে। মোরাকাবার দ্বারা ক্বালবের মাঝে প্রেম জাগ্রত হয়। এ প্রসঙ্গে ইমাম প্রফেসর ড.এনামুল হক মুজাদ্দি বলেন, মোরাকাবার মাধ্যমে বান্দার অন্তরে তাকওয়া বা খোদাভীতি তৈরি হয়। ফলে বান্দা মুত্তাকি হওয়ার পাশাপাশি ক্বালবে জ্বিকির জারির মাধ্যমে আল্লাহর প্রেমিক হতে পারে। মোরাকাবার গুরুত্ব ও ফজিলত বর্ণনা করে তিনি আরও বলেন, মহান আল্লাহর দর্শন একমাত্র মোরাকাবা তথা ধ্যানের মাধ্যমেই সম্ভব। হযরত আদম (আ.) থেকে শুরু করে রাহমাতুল্লিল আলামিন হযরত রাসুল (সা.) পর্যন্ত সকল নবী-রাসুল, অলী-আল্লাহ, গাউস-কুতুব মোরাকাবার মাধ্যমে মহান আল্লাহর সাথে যোগাযোগ করেছেন। নবুয়ত পরবর্তী বেলায়েতের যুগে অলী-আল্লাহ্গণ একই পদ্ধতিতে আল্লাহর সাথে যোগাযোগ করেন। মানুষের হৃদয়ে তথা ক্বালবের ৭ম স্তর নাফসির মোকামে আল্লাহর অবস্থান। শাহ্ মাহমুদিয়া ইসলামি দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আবদুল মোমেনের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন কমপ্লেক্স এর পরিচালক শাহাজাদা মাওলানা মঈনদ্দিন মজিদী, মাওলানা নুরুল করিম, সাংবাদিক সোহেল তাজ, হাফেজ মাওলানা ফুরকান, মাওলানা মোহাম্মদ ইউছুপ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি