আল্লাহর নৈকট্য লাভে নিষ্ঠার সাথে হজ পালন করতে হবে

128

শাহ্ আমানত হজ্ব কাফেলার ব্যবস্থাপনায় এ বছর হজ্ব গমনেচ্ছু দেড় হাজার হাজীর জন্য হজ প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও হাজী সমাবেশ গত ২২ জুন শনিবার সকাল থেকে নগরীর জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হয়। শাহ আমানত হজ্ব কাফেলার চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ্ব মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াছিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হাজী সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম নাছির উদ্দীন। তিনি বলেন, ধৈর্য ও সবরের পরীক্ষা হলো হজ্ব। বিশ্ব মুসলমানের সর্ববৃহৎ মিলনোৎসব পবিত্র হজ্ব বিশ্বশান্তি, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধের শিক্ষা দেয়। হাজীদের সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশে হজ্ব পালনে সরকার নানা পদক্ষেপ নেয়ায় এর সুফল পাচ্ছেন আল্লাহর মেহমান হাজীগণ। মেয়র বলেন, হজ্ব পালনকালে একাগ্রতা, নিষ্ঠা, নিয়তের বিশুদ্ধতা ও হালাল উপার্জন জরুরি। হাজীদের জন্য শাহ আমানত হজ্ব কাফেলার নেয়া নানামুখী সেবামূলক পদক্ষেপের প্রশংসা করেন তিনি। মেয়র বলেন, হজ্ব ব্যবস্থাপনা হতে হবে হাজীবান্ধব। হাজীদের নিয়ে নিছক ব্যবসা করা যাবে না। হাজীদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে হবে। ধৈর্য ও নিষ্ঠার সঙ্গে হজ্ব পালন করে আল্লাহর নৈকট্যার্জনের তাগিদ দেন তিনি। কর্মশালা ও হাজী সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান ও বিএমএ কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ডা. শেখ শফিউল আজম। তিনি বলেন, হজ্ব পালনকালে স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে। সুস্থ শরীরে হজ্ব পালনের জন্য শৃঙ্খলা ও নিয়মনীতি মেনে চলা জরুরি। শাহ আমানত হজ্ব কাফেলা দীর্ঘ দুই দশক ধরে হাজীদের মানসম্মত সেবা দিয়ে তাদের আস্থা অর্জন করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সভাপতির বক্তব্যে কাফেলার চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াছিন বলেন, দেশে প্রতিনিয়ত হজ্ব গমনেচ্ছুদের সংখ্যা বাড়লেও এবছর একজনের কোটাও বাড়েনি। ৩/৪ বছর ধরে মাত্র ১ লাখ ২৭ হাজার নারী-পুরুষ হজ্ব পালনের সুযোগ পাচ্ছে। তাই, হাজীকোটা অন্তত দেড় লাখ পর্যন্ত বাড়ানো দরকার। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিমান ও সৌদি এয়ারলাইন্স হজ্ব পরিবহনে একচেটিয়া মনোপলি সিস্টেম জিইয়ে রাখায় এবং অন্য এয়ারলাইন্সগুলো হাজী পরিবহনের সুযোগ না পাওয়ায় অযৌক্তিক বাড়তি বিমানভাড়ার ধকল সইতে হচ্ছে হাজীদেরকে। তাই হাজী পরিবহনে ওপেন স্কাই নীতি বাস্তবায়নে তিনি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সকালে প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন কাফেলার পরিচালক আলহাজ্ব মুহাম্মদ মহিউদ্দিন। কুরআন মজিদ থেকে তেলাওয়াত ও নাতে রাসুল (দ.) পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন জমিয়তুল ফালাহ্ মসজিদের খতিব ও জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়ার মুহাদ্দিস আল্লামা সৈয়দ আবু তালেব মুহাম্মদ আলাউদ্দিন, জমিয়তুল ফালাহ্র ইমাম আল্লামা নূর মোহাম্মদ সিদ্দিকী, জামেয়ার প্রভাষক আল্লামা সৈয়দ ইউনুস রিজভী, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, অধ্যক্ষ আল্লামা আবুল কালাম আমিরী, হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাÐারী (ক.) ট্রাস্টের সচিব অ্যাডভোকেট কাজী মহসিন চৌধুরী, ডা. আবদুল করিম, বাংলাদেশ বিমানের কর্মকর্তা নুরুল আবছার, আলহাজ্ব এম.এ. কুদ্দুস। কাফেলার সিনিয়র এক্সিকিউটিভ মুহাম্মদ আবদুল মান্নানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় হজ্বকালীন করণীয় নিয়ে পুরুষ ও মহিলা হজ্ব গমনেচ্ছুদেরকে পৃথক ব্যবস্থাপনায় প্রজেক্টরের মাধ্যমে দিক নির্দেশনামূলক প্রশিক্ষণ দেন কাফেলার মুয়াল্লিম চ.বি অধ্যাপক ড. এ.এস.এম বোরহান উদ্দিন, পরিচালক আলহাজ্ব মুহাম্মদ নঈম উদ্দীন জহুর, পরিচালক আলহাজ্ব এটিএম শাহজালাল, মুয়াল্লিম মাওলানা আবুল হাসান মুহাম্মদ ওমাইর রজভি, মাওলানা সেকান্দর হোসাইন আলকাদেরী, মাওলানা ইকবাল হোসাইন আলকাদেরী, মাওলানা নূর মুহাম্মদ আলকাদেরী, মাওলানা লিয়াকত আলী নোমানী, মাওলানা আলী শাহ্ নেছারী, মাওলানা হাফেজ মুহাম্মদ আলী, মাওলানা কাযী খায়রুল আনোয়ার, মাওলানা আবদুস সোবহান ভূঁইয়া, মাওলানা হাফেজ শিব্বির আহমদ ওসমানি, মাওলানা শায়ের মুহাম্মদ ইউনুস, মাওলানা হাসান মুরাদ কাদেরী, মাওলানা এমদাদুল ইসলাম, মাওলানা তারেক আবেদীন, মাওলানা মুখতার আহমদ রিজভি, মাওলানা এনামুল হক এনাম, মাওলানা মাহবুবুর রহমান কাদেরী, মাওলানা এনামুল হক আতিকি, মাওলানা হাফেজ শাহজাহান প্রমুখ। প্রতীকী কাবাঘর প্রদর্শন করে হাজী সেজে করণীয় তুলে ধরেন আলহাজ্ব মুহাম্মদ আবদুস সবুর। সালাত-সালাম শেষে দেশ, জাতি, মুসলিম উম্মাহ ও বিশ্ববাসীর শান্তি-সমৃদ্ধি কামনায় মুনাজাত পরিচালনা করেন ড. এ.এস.এম বোরহান উদ্দিন। জামাতে জোহর নামাজ আদায় শেষে সবার মাঝে তবরুক পরিবেশিত হয়। বিজ্ঞপ্তি