আল্লামা সাঈদীকে হাসপাতালে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে

1

মিরসরাই প্রতিনিধি

সাঈদী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মেজ ছেলে শামীম বিন সাঈদী বলেছেন, ‘কোরআনের পাখিকে জেলখানা থেকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলো হার্ট অ্যাটাকের কথা বলে। হার্ট অ্যাটাকের রোগী হুইল চেয়ারে চলে নাকি স্ট্রেচারে শুয়ে থাকে? তার চলে যাওয়া অস্বাভাবিক ছিল না। কারণ তাকে হাসপাতালে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এই হত্যার বিচার চাই। কোরআনের রাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এই প্রতিশোধ নিবো ইনশাআল্লাহ’।
গত বুধবার রাতে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের সোবাহানিয়া দরবার শরীফের ১১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আজিমুশ্শান ওয়াজ মাহ্ফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় শামীম বিন সাঈদী বলেন, ‘সেদিন তিনি এতো সুন্দর মিষ্টি মধুর হাসি দিলেন এর আগে কি কখনো এতো সুন্দর হাসি দেখেছেন তার? আমি দেখি নাই। আপনারা দেখছেন কিনা জানি না। যাওয়ার আগে সারা পৃথিবীর মানুষকে এতো সুন্দরভাবে সালাম দিয়ে বিদায় নিয়ে গেলেন। কারো কপালে এরকম সৌভাগ্য হয় না। কেউ একজন জিজ্ঞেস করেছেন আপনার কি কষ্ট হচ্ছে? কেমন আছেন? তিনি (আল্লামা সাইদী) সাথে সাথে বললেন- আলহামদুলিল্লাহ; আল্লাহ আমাকে অনেক ভালো রেখেছেন। আপনারা দেখছেন না ভিডিও। ওই যে হাসি দেখছেন, এটা কি শুধু হাসি, এটা শুধু হাসি না; ওই হাসির মাঝে প্রতিবাদ আছে। ১৩ বছর নয় ২৬ বছর নয়, ৩০ বছর বন্দী করে রাখলেও আল্লামা সাঈদীর মাথা নতেজ হওয়া জানে না’।
তিনি আরও বলেন, ‘৫ মে আলেম-ওলামাদেরকে শাপলা চত্বরে নিয়ে লাইট অফ করে দিয়ে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আলেম-ওলামাদের রক্ত বৃথা যাবে না। এই বাংলার মাটিতে ইসলামের পতাকা, কালেমার পতাকা উড্ডয়ন হবেই হবে। ইনশাআল্লাহ; সেদিন দূরে নয়, যে স্বপ্ন দেখেছেন আল্লামা সাঈদী সেই স্বপ্ন ইনশাআল্লাহ অল্প সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন হবে। আল্লাহ আমাদেরকে দেখাবেন। তিনি দেখতে পারেন নাই। কিন্তু আল্লাহ আপনাদেরকে দেখাবেন’।
সোবহানিয়া জামেয়া-ই-নাছেরীয়া ট্রাস্ট ময়দানে অনুষ্ঠিত মাহ্ফিল বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসিরীনের সহ-সভাপতি ও সোবহানীয়া কমপ্লেক্সে, মিরসরাইয়ের পীর সাহেব (শাহ আল্লামা) আবদুল মোমেন নাছেরীর সভাপতিত্বে বিশেষ মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসএইচ এজেন্সি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আব্দুল আলীম, ধর্মীয় আলোচক ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাড. সাইফুর রহমান, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (অবসরপ্রাপ্ত) মো. রোকন উদ-দ্দৌলা, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ^বিদ্যালয় বায়তুল মোয়াজ্জম জামে মসজিদের খতিব প্রফেসর ড. মো. সফিউদ্দিন মাদানী।
এসময় প্রধান মুফাসসির হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলাহুল উম্মাহ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাওলানা আবু হানীফ নেছারী। প্রধান ওয়ায়েজ ছিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির শাইখুল হাদীস আল্লামা মহিউদ্দিন রাব্বানী। বিশেষ ওয়ায়েজ ছিলেন চট্টগ্রাম সরকারি পলিটেকনিক্যাল জামে মসজিদের খতিব অধ্যাপক মাওলানা বোরহান উদ্দিন, বারো আউলিয়া বাইতুল আমান জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুল হালিম হেলালী, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মিরসরাই উপজেলার আমীর মাওলানা নুরুল কবির, সোবহানীয়া জামেয়া-ই-নাছেরীয়া ট্রাস্টের পরিচালক পীরজাদা আবু তাহসিন নাছেরী।