আরিফ থাকলে চট্টগ্রাম হতো অন্যতম পর্যটন নগরী

1

বাঁশখালী প্রতিনিধি

সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, হাসান আরিফ বেঁচে থাকলে চট্টগ্রাম হত দেশের অন্যতম পর্যটন নগরী। তিনি না হলে হয়তো আজকে আমি মেয়র হিসেবে বসতে পারতাম না। পদে পদে আমার ফাইল আটকে যাওয়ার পর উপদেষ্টা হাসান আরিফ স্যারই প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমার ফাইল নিয়ে যান। তিনি বলেছিলেন, ‘শাহাদাতকে আমার লাগবে’। এরপরই সিটি মেয়র হিসেবে আমার শপথ অনেকটা সহজ হয়।
গতকাল শনিবার দুপুরে বৈলছড়িতে বাঁশখালী গার্লস কলেজ মাঠে খানবাহাদুর ফাউন্ডেশন আয়োজিত সদ্য প্রয়াত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভূমি, বেসামরিক বিমান, পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ. এফ হাসান আরিফ স্মরণে সভা ও দোয়া মাহফিলে সিটি মেয়র প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
খাঁন বাহাদুর ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সাবেক সিটি মেয়র ও সাবেক এমপি আলহাজ মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে স্মরণসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আমেরিকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রায়হানুল ইসলাম চৌধুরী, খ্যাতিমান চিকিৎসক সৈয়দ মেজবাহুল হক, প্রয়াত হাসান আরিফের ছেলে অ্যাডভোকেট মুয়াজ আরিফ, হাসান আরিফের ব্যক্তিগত সহকারী অ্যাডভোকেট মো. আদীব চৌধুরী, প্রবীণ বিএনপি নেতা শাখাওয়াত জামাল দুলাল, বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জামশেদুল আলম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জসিম উদ্দিন ও বাঁশখালী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম।
উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির আহŸায়ক মাস্টার লোকমান আহমদ, সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান চৌধুরী, বাঁশখালী গার্লস কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর জমির উদ্দীন, বাহারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম ইউনুস, সাবেক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, সাবেক চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন, বাঁশখালী প্রেসক্লাব সভাপতি শফকত হোসাইন চাটগামী, সহ সভাপতি শাহ মুহাম্মদ শফিউল্লাহ, সেক্রেটারি আবদুল মতলব কালু, কোষাধ্যক্ষ দিদার হোসাইন, বিএনপি নেতা ফজলুল কাদের, আবদুল ওয়াহাব চৌধুরী প্রমুখ। ডা. শাহাদাত আরও বলেন, হাসান আরিফ স্যারের সাথে আমার পরিচয় বেশি দিনের নয়। বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত আইনজীবী হিসেবে আমি স্যারকে চিনতাম। স্যার অত্যন্ত বিনয়ী ছিলেন। তিনি জীবিত থাকলে চট্টগ্রাম হতো দেশের অন্যতম পর্যটন নগরী। হাসান আরিফ স্যার না থাকলে আজকে আমি মেয়র হতে পারতাম না। স্যারের কাছে আমি আজীবন কৃতজ্ঞ। সবাই স্যারের জন্য দোয়া করবেন।
সভাপতির বক্তব্যে সাবেক সিটি মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, হাসান আরিফ আমার পরিবারের সদস্যের মত ছিলেন। আমার প্রিয় একজন বন্ধু ছিলেন। তিনি দুইবার মন্ত্রী মর্যাদায় উপদেষ্টা ছিলেন। তাকে দিয়ে বাঁশখালীর অনেক উন্নয়ন করেছি। তিনি বাঁশখালীর বহু মানুষের উপকার করেছেন। খানবাহাদুর ফাউন্ডেশন ও বাঁশখালী গার্লস কলেজে তার অনেক অবদান আছে। তার মৃত্যুতে আজকে এ দোয়ার আয়োজন ও স্মরণসভা তার প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা বোধের একটি অংশ। পরে মুনাজাতের মাধ্যমে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল শেষ হয়।