পূর্বদেশ ডেস্ক
বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় টেকনাফ উপজেলার একটি ট্রলারসহ আরও সাত জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সদস্যরা। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার সেন্ট মার্টিনের দক্ষিণে সাগর থেকে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালী বোট মালিক সমিতির সভাপতি সাজেদ আহমেদ। খবর বিডিনিউজের।
এদিকে সাগর থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেদের ছবি প্রকাশ করেছে মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবাল আরাকান নেটওয়ার্ক’।
অপহরণের শিকার জেলেরা টেকনাফ পৌরসভার বাসিন্দা। তবে নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
সাজেদ আহমেদ বলেন, পৌরসভার বাসিন্দা শাওনের মালিকানাধীন একটি ট্রলার সাগরে মাছ শিকারে যায়। এ সময় আরাকান আর্মির সদস্যরা স্পিড বোটে এসে ধাওয়া করে ট্রলারসহ সাত জেলেকে ধরে নিয়ে যায়। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হয়েছে। এ ঘটনার পর ট্রলার মালিক ও জেলেদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে জানান বোট মালিক সমিতির সভাপতি।
এদিকে মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবাল আরাকান নেটওয়ার্ক’ জানিয়েছে, মঙ্গলবার আরাকান আর্মির উপক‚লীয় নিরাপত্তা বিভাগ সমুদ্রপথে টহল জোরদার করেছে। টহলের সময় আরাকান রাজ্যের জলসীমা অতিক্রম করে মাছ ধরতে থাকা কয়েকটি বাংলাদেশি ট্রলার শনাক্ত করা হয়।
সেখানে তারা চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত অন্তত ১৮৮ বাংলাদেশি জেলে ও ৩০টি নৌকা আটক এবং পরবর্তীতে মুক্তি দেওয়ার কথা বলেছেন।
গেল আট মাসে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে নাফ নদী এলাকা থেকে অন্তত ৩২০ জেলেকে অপহরণ করে আরাকান আর্মি। এর মধ্যে চলতি বছরের মার্চ থেকে ২৩ অগাস্ট পর্যন্ত অপহৃত হন ২০০ জেলে।
পরে বিজিবির সহায়তায় অন্তত ২০০ জনকে কয়েক দফায় ফেরত আনা হয়। এখনো ১২০ জেলে আরাকান আর্মির হাতে বন্দি রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সাগরে মাছ শিকারে যেতে ভয় পাচ্ছেন জেলেরা।











