নিজস্ব প্রতিবেদক
শরতের শুরুতেই চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বয়ে চলা ভারি বৃষ্টিধারা চার বিভাগে আরও অন্তত দু’দিন অব্যাহত থাকার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পাশাপাশি ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসেরও শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। একইসাথে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোতে ইতিমধ্যে জারি করা তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত বহাল রাখা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত ভারি বৃষ্টিপাতজনিত এক সতর্কবার্তায় জানানো হয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে পরবর্তী আটচল্লিশ ঘণ্টায় ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। এর ফলে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধস হতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস বলছে, গত চব্বিশ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৭৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ছয়টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মাত্র ছয় ঘন্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে অন্তত ৬০ মিলিমিটার। যদিও এর আগের দিন মানে গত সোমবার চট্টগ্রামে একশ’ ২৩ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে আবহাওয়া অফিস। ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় নগরবাসীকে পোহাতে হয়েছে জলাবদ্ধতার ভোগান্তিও। অবশ্য হালকা বৃষ্টিতেও অনেক সময় জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে শহরের মানুষজন।
এ বিষয়ে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পূর্বাভাস কর্মকর্তা ঈসমাইল ভুঁইয়া বলেন, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে মঙ্গলবার সকাল দশটা থেকে পরবর্তী আটচল্লিশ ৪৮ ঘণ্টা ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। এর প্রভাবে পাহাড় ধসেরও আশঙ্কা রয়েছে। তবে আগামী পরশু অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে আবহাওয়া পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হবে। এরপর ধীরে ধীরে বৃষ্টিপাতও কমে আসবে। বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের প্রভাব কমে আসায় বর্তমানে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় আছে। এছাড়াও গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার কারণে উপকূলে ঝড়ো হাওয়ার আশঙ্কায় সমুদ্র বন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চব্বিশ ঘণ্টায় এক থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হলে তাকে হালকা, ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি, ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি ধরনের ভারি, ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে ভারি এবং ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি রেকর্ড হলে তাকে অতিভারি বৃষ্টিপাত হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।