আয়রনমুক্ত পানি নিশ্চিতকরণের দাবিতে এডভোকেসি সভা

1

ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরাম ও একশনএইড বাংলাদেশের সহযোগিতায় আয়োজিত এডভোকেসি সভায় চট্টগ্রামের জনসাধারণকে আয়রনযুক্ত পানির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত করার আহবান জানানো হয়। চট্টগ্রাম ইয়ুথ হাবের সভাপতি আবদুল মন্নান জিহাদ, সহ-সভাপতি মো. জাবির বিন সোলাইমান এবং আব্দুল তারেকের উদ্যোগে গত ২৮ অক্টোবর থেকে গবেষণায় এ সমস্যার ভয়াবহতা চিহ্নিত করা হয়। আয়রনযুক্ত পানি ব্যবহারের ফলে স্থানীয় জনগণ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। এসব সমস্যার মধ্যে ত্বক ও চুলের ক্ষতি, এলার্জি, পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া, গর্ভাবস্থায় জটিলতা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। যুব সংগঠনগুলোর তরফ থেকে ইয়ুথ ভয়েস ফর চেঞ্জ, ঊষার আলো যুব সংঘ, কায়ো বাংলাদেশ এবং ইয়ুথ ইনোভেশন ফর অ্যাকশন চট্টগ্রাম এলাকায় এফজিডি, কেআইআই এবং আইডিএ পরিচালনা করে এসব সমস্যার বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হয় ও ভিডিও ডকুমেন্টারি সহ রিপোর্ট তৈরি করা হয়।
প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ৭ নভেম্বর সকাল এডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এসডিও ইঞ্জি. গোলাম মোরশেদ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ডা. সিরতাজ সিদ্দিকী, সিডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী নিয়াজ মামুন, ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরামের প্রধান নির্বাহী উৎপল বড়ুয়া, লোকাল রাইটস প্রোগ্রামের প্রকল্প ব্যবস্থাপক রিদুয়ানুল হাকীম রিয়াদ, একশনএইড বাংলাদেশের ইইন্সপিরেটর সুইট খান, ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরাম’র প্রকল্প কর্মকর্তা পিকুল দাশ জয়, ইয়ুথ পিয়ার গ্রæপ ফেসিলিটেটর মৌসুমী আক্তার, বীর চট্টলা সিএসও হাবের সভাপতি আলী আজগর, সাধারণ সম্পাদক নিলুফা ইয়ামিন, যুব সংঘটন ইয়ুথ ভয়েস ফর চেইঞ্জ’র সহ সভাপতি আব্দুল আজিজ, সাধারণ সম্পাদক নওশাদ হাসান মাহফুজ, প্রোগ্রাম সম্পাদক আব্দুল মান্নান জিহাদ, ঊষার আলো যুব সংঘের সভাপতি জাবির বিন সোলাইমান, সাধারণ সম্পাদক রাইসুল ইসলাম, ইয়ুথ ইনোভেশন ফর একশন’র সাধারণ সম্পাদক ইফরাতুল জাহান স্বপ্না, সদস্য ফারাজানা আকতার, কায়ো বাংলাদেশে’র উপদেষ্টা আব্দুল তারেক, সভাপতি ফাইহিমা আক্তার আইরিন, সাধারণ সম্পাদক সাকিবুল হাসান, সৃজনশীল যুব সংঘটন এর সভাপতি মো. আদনানসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
সভায় যুবরা সিডিএ, সিসিসি, ওয়াসা এবং গণস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতি বেশকিছু দাবি তুলে ধরে। দাবিগুলো হলো- উন্নয়ন কার্যক্রম নির্ধারিত সময়কালে সম্পন্ন করতে হবে। উন্নয়ন চলাকালে পানির সরবরাহ বিঘিœত না হওয়া নিশ্চিত করতে হবে। উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়তা যেন চাহিদার চেয়ে বেশি গুরুত্ব পায়। সিডিএ, সিসিসি ও ওয়াসার মধ্যে কার্যকর সমন্বয় স্থাপন। সুপেয় পানির কল স্থাপন। সংকটকালে সুপেয় পানির ট্যাংক সরবরাহ।
সিডিএ, সিসিসি ও ওয়াসার সমন্বিত কার্যক্রম। সিসিসি এর পানি সরবরাহ কার্যক্রমে যুবদের অন্তর্ভুক্তি। বাকলিয়া এলাকায় পানির লাইন স্থাপন। বিশুদ্ধ পানির প্ল্যান্ট স্থাপন। সিডিএ, সিসিসি ও ওয়াসার সমন্বিত কার্যক্রম। ওয়াসার বিভিন্ন কার্যক্রমে যুবদের অন্তর্ভুক্তি। জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম বৃদ্ধি। বাকলিয়া এলাকায় পানি বিশুদ্ধকরণ সরঞ্জাম সরবরাহ। মাঠ পর্যায়ে তদারকির মাধ্যমে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কার্য সম্পাদন। গণস্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সিডিএ এর কার্যক্রমে যুবদের অন্তর্ভুক্তি। বিজ্ঞপ্তি