নিজস্ব প্রতিবেদক
আয়কর ব্যবস্থাপনাকে শতভাগ অনলাইন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। এতে আয়করদাতাদের ভোগান্তি কমার পাশাপাশি আয়কর বিভাগের দুর্নাম ঘুচবে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর আগ্রাবাদে আয়কর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এনবিআর চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
মো. আব্দুর রহমান খান এনবিআরের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদানের পর প্রথমবারের মতো দুই দিনের সফরে চট্টগ্রাম আসেন। তিনি প্রথম দিনে চট্টগ্রাম কাস্টমস, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি সিএন্ডএফ এজেন্ট ও বিজিএমইএ নেতাদের সাথে মতবিনিময় করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে আয়কর বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এসময় রাজস্ব বোর্ডের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আবদুর রহমান খান বলেন, আয়করদাতাদের ভোগান্তি কমাতে আয়কর ব্যবস্থাপনাকে শতভাগ অনলাইন করতে হবে। এটি বাস্তবায়ন করা গেলে আয়কর বিভাগের দুর্নাম ঘুচবে।তিনি বলেন, আয়করদাতা ও সংগ্রহকারীর মধ্যে সম্পর্ক হবে মৌমাছি ও ফুলের মতো। মৌমাছি যেমন ফুলের কোনো ক্ষতি না করেই মধু সংগ্রহ করে মৌচাক বানায়, তেমনি আয়কর বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের খেয়াল রাখতে হবে আয়কর দিতে এসে আয়করদাতারা যেন কোনো সমস্যায় না পড়েন। একই ব্যক্তি যাতে বার বার অডিটের নামে হয়রানিতে না পড়েন সেটিও খেয়াল রাখতে হবে।
এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত আক্রোশ বা পছন্দের ওপর ভিত্তি করে আয়করদাতাদের প্রতি নানাক্ষেত্রে বৈষম্য করা হয়েছে। এখন থেকে এসব বিষয়ে নজরদারি করবে রাজস্ব বোর্ড। আয়করদাতারা যাতে কর দিতে গিয়ে কোনো ঝামেলায় না পড়েন সেই বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিষয়ে ঊর্ধ্বতনদের নজরদারি রয়েছে। এছাড়া মানুষ যাতে ঘরে বসে অনলাইনে কর দিতে পারেন, সেই বিষয়টি সামনে এগিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। ইতোমধ্যে ঢাকায় ৫০ হাজার মানুষ অনলাইনে আয়কর দিয়েছেন। এই সংখ্যা বাড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেন তিনি।
তিনি বলেন, ঢাকার বাইরেও কারিগরি ব্যবস্থাপনা তৈরি করতে হবে। অনলাইন কেন্দ্রীক ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে। এজন্য চট্টগ্রাম আয়কর বিভাগকেও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। পরে চট্টগ্রামের আয়কর আইনজীবীদের সঙ্গেও বৈঠক করেন এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।