আমুর জন্য চেয়ার চাইলেন শাজাহান খান, বিমর্ষ ইনু

1

জুলাই আন্দোলন ঘিরে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা ও হত্যাচেষ্টার পৃথক সাত মামলার শুনানিতে আদালত কক্ষে দাঁড়িয়ে থাকা সাবেক মন্ত্রী আমির হোমেন আমুর জন্য চেয়ার চান সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। পরে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের এই বর্ষীয়ান সদস্যের বসার জন্য ব্যবস্থা করে দেন বিচারক।
গতকাল বুধবার সাত মামলায় আমুসহ ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সাবেক ছয় মন্ত্রী এবং একজন সংসদ সদস্যকে বংশাল থানার শহীদ শেখ মেহেদী হাসান জুনায়েদ হত্যা মামলায় নতুন করে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে আদালত।
তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম মো. মিনহাজুর রহমান এ আদেশ দেন। খবর বিডিনিউজ’র
গ্রেপ্তার দেখানো অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেননসহ ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু।
এদিন সকার ১০টা ২৩ মিনিটের দিকে আসামিদের এজলাসে তোলা হয়। এরপর শুনানি শুরু হয় সাড়ে ১০টার পরপর। শুরুতে বিচারক মো. মিনহাজুর রহমান সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, “দয়া করে কেউ কথা বলবেন না। আর আসামির ডকে যারা আছেন তাদের সাথে অনুমতি ছাড়া কথা বলবেন না।“
এসময় আমির হোসেন আমুর আইনজীবী আদালতকে বলেন, “তিনি বয়স্ক, অসুস্থ। দাঁড়িয় থাকতে পারছেন না। তার বসার ব্যবস্থা করার প্রার্থনা করছি।” তখন বিচারক বলেন, “তিনি (আমির হোসেন আমু) আসছেন?”
পরে শাজাহান খান বলেন, “আমাদের মুরুব্বি আমির হোসেন আমু সাহেব অসুস্থ। তার বসার জন্য চেয়ারের ব্যবস্থা করেন।” এরপর বিচারক আমুর জন্য বসার ব্যবস্থা করতে বলেন। পরে আমুকে একটি টুল দেওয়া হয়। এরপর শুনানি শুরু হয়।
শুনানির সময় সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে বিমর্ষ চেহারায় আদালতের কাঠগড়ায় দেয়াল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এসময় তিনি আদালতের জানালার গ্রিলে হাত রেখে দরজার বাইরে তাকিয়ে ছিলেন।
শুনানি শেষে হাজতখানায় নিয়ে যাওয়ার পথে শাজাহান খান বলেন, “আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করা যায় না। আওয়ামী লীগ ফিনিক্স পাখির মত আবার জীবন্ত হবে।“
নির্বাচন করবেন কিনা জানতে চাইলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “যখন সুযোগ পাবো করবো, ইনশাআল্লাহ। অবশ্যই প্রস্তুত আমরা। ইনশাআল্লাহ নির্বাচন করবো।”