আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরীর মা ও শিশু হাসপাতাল পরিদর্শন

4

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর সাবেক প্রেসিডেন্ট আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী ৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। হাসপাতালে তাকে স্বাগত জানান কার্যনির্বাহী কমিটির জেনারেল সেক্রেটারী মোহাম্মদ রেজাউল করিম আজাদ। তিনি হাসপাতালের এএমইউ ও ইমার্জেন্সি, শিশু এএমইউ ও ইমার্জেন্সি, ক্যাথল্যাব, সিসিইউ, আইসিইউ ও ক্যান্সার হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন পরবতী তিনি হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটি ও কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এ সময় হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল মান্নান রানা, জেনারেল সেক্রেটারী মোহাম্মদ রেজাউল করিম আজাদ, জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারী ডা. কামরুন নাহার দস্তগীর, অর্গানাইজিং সেক্রেটারী মোহাম্মদ সাগির, ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন, উপ-পরিচালক (মেডিকেল এফেয়ার্স) ডা. এ কে এম আশরাফুল করিম, এনেস্থেসিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. অলক নন্দী, ক্যান্সার ইনস্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. শেফাতুজ্জাহান, আইসিইউ ইনচার্জ ডা. মেহেদী হাসান, আজীবন সদস্য মো. নাসির উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী হাসপাতালের সার্বিক কার্যক্রম, চিকিৎসা সেবা ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি হাসপাতালের আইসিইউ, সিসিইউ, ক্যাথল্যাবসহ বিশেষায়িত চিকিৎসা সেবাসমূহের প্রশংসা করেন। বিশেষ করে মাত্র দুই বছর সময়ের মধ্যে এখানে একটি পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার হাসপাতাল চালু করার জন্য তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। ক্যান্সার হাসপাতালে বিশে^র অত্যাধুনিক লিনিয়ার এক্সিলাটের ট্রুবিম ক্যান্সার মেশিন, অত্যাধুনিক সিটি সিমুলেটর স্থাপনসহ ক্যান্সার রোগীদের সার্বিক চিকিৎসা সেবায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের ক্যান্সার রোগীরা দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত ছিল। ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য বিশেষ করে রেডিওথেরাপির জন্য রোগীদের ঢাকায় যেতে হতো। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে অত্যাধুনিক এই রেডিয়েশন মেশিন স্থাপনের ফলে রোগীদের আর চট্টগ্রামের বাইরে যেতে হবেনা। এখানেই এখন ক্যান্সারের সকল চিকিৎসা সম্ভব। এই ক্যান্সার হাসপাতাল চট্টগ্রামবাসীর জন্য একটা বিশাল সম্পদ। এটিকে আমাদের টিকিয়ে রাখতে হবে এবং এর উন্নয়নে সবাইকে কাজ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, আমি এক সময় এই হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটিতে ছিলাম। বিগত বিএনপি সরকারের আমলে হাসপাতালের নামে সরকার থেকে ৪.২৩৬৭ একর জমি দীর্ঘমেয়াদি বন্দোবস্তী পাওয়ার ক্ষেত্রে আমাকে অনেক কাজ করতে হয়েছে। যার ফলশ্রæতিতে এই বিশাল হাসপাতাল কমপ্লেক্স আজ নিজস্ব ভ‚মির উপর দাঁড়িয়ে আছে। উক্ত জমি পাওয়ার ক্ষেত্রে তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তৎকালিন বাণিজ্য মন্ত্রী জনাব আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, হাসপাতালের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ডা. এম নূর-উন নবীর অবদান তিনি কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন। তিনি বিশেষভাবে স্মরণ করেন হাসপাতালের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট প্রফেসর এ এস এম ফজলুল করিম স্যারকে। যিনি তাকে এই হাসপাতালের জন্য কাজ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছেন। তিনি হাসপাতালের উন্নয়নে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ^াস প্রদান করেন। বিজ্ঞপ্তি