ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে চট্টগ্রামকে ক্লিন, গ্রিন, হেলদি সিটি হিসেবে গড়তে চান চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। গত সোমবার নগরীর কৃষ্ণকুমারী সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ ও কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন মেয়র। ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, কৃষ্ণকুমারী সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের এই ভবনটি কৃষ্ণকুমারীর নয় এই ভবনটি মিউনিসিপাল মডেল হাই স্কুলের। তোমাদের দাবি যৌক্তিক। পরের গৃহে থাকতে কার না ভালো লাগে! নিজের গৃহেই তো সবচেয়ে বড় সুখ। নৈতিক শিক্ষার উপর জোর দিয়ে ডা. শাহাদাত বলেন, জ্ঞান অন্বেষণ করো। জ্ঞানের অর্জনের কোন বয়স নেই। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমাদের শিখতে হবে।
মানে পুরা জীবনেই আমাদের জ্ঞান অন্বেষণের জন্য সংগ্রাম করতে হয়। তবে এর মধ্যে যে জিনিসটি দরকার সেটি হচ্ছে ‘নৈতিক’ শিক্ষা। আমি একজন ডাক্তার হয়ে যখন একজন গরীব রোগীকে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার মনোবৃত্তি থাকবে না, তখন আমার এ শিক্ষার কোন দাম থাকবে না।
ওটা কোন আলোকিত শিক্ষা নয়। আলোকিত শিক্ষা হচ্ছে সেটা, যখন আমি ডাক্তার হয়ে গেলাম আমি একজন রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিলাম, তাকে কিছু ওষুধ দিলাম, সেটাই হলো আলোকিত শিক্ষা এবং এই শিক্ষাটাই আমাদের দরকার। পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে ছ্ত্রাদের প্রশিক্ষণ দিতে শিক্ষকদের ভূমিকা প্রত্যাশা করে মেয়র বলেন, আমি যেটার উপর জোর দিব সেটা হচ্ছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা। পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, শিক্ষা কর্মকর্তা মোছাম্মৎ রাশেদা আক্তার, প্রধান শিক্ষক তমিজ উদ্দিন, আবু তালেব চৌধুরী বেলাল, শাহেদুল কবির চৌধুরী, আক্তার হোসেন, নিকাশ ধর, লুৎফুর নেছা খানম, শাহিনুর জাহান, আহমেদ হোসেন, বিপ্লব ভট্টাচার্য প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি