আমরা যুদ্ধ চাই না-শান্তি চাই

1

মুহাম্মদ এনামুল হক মিঠু

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই। যুদ্ধের ভয়বহতা কতটা তীব্র, যন্ত্রণাদায়ক এবং অমানবিক তা একবিংশ শতাব্দীতে বলার অপেক্ষা রাখে না। যুদ্ধ ধ্বংস করে চলছে মানবিকতা, মূল্যবোধ, বিশ্ববিবেক এবং সব সৃজনশীলতাকে। সভ্যতা, মানবিকতা, জাতীয়তা, ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক, সামাজিক সম্পর্ক, পারিবারিক ও ব্যক্তিগত সম্পর্ক এবং সৌহার্দ্য টিকিয়ে রাখতে সৃজনশীল মানবিক পৃথিবী গড়তে যুদ্ধ বন্ধের বিকল্প নেই। যুদ্ধ নয়, শান্তি একটি মানবিক এবং সামাজিক প্রযুক্তি যা মানবজাতির অগ্রগতি এবং সামাজিক সমন্বয়ে একটি মহৎ ভূমিকা পালন করে। শান্তির পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য যুদ্ধ ও সংঘর্ষ দ্বারা অগ্রসর হওয়ার পরিবার্য কোনো মৌনস্বর উপায় নয়। শান্তি এবং সহযোগিতার মাধ্যমে মানবজাতি আগামীর দিকে এগিয়ে যাবে এবং একটি উন্নত ও সামাজিকভাবে সমৃদ্ধ সমাজ গড়ে তুলতে সক্ষম হবে। যুদ্ধ মানবজাতির জীবনে একটি অত্যন্ত ধ্বংস প্রবৃত্তি বয়ে আনে। যুদ্ধের ফলে নষ্ট হয়ে যায় মানবজীবন, সংস্কৃতি, অর্থনীতি এবং প্রাকৃতিক সম্পদ। যুদ্ধের সাহায্যে তথ্যপ্রযুক্তি এবং বিজ্ঞান উন্নতি হয় না বরং এটি বিপজ্জনক প্রযুক্তির প্রয়োগ ও ব্যবস্থাপনার কারণে হৃৎপিন্ডে ধ্বংস এনে দেয়। এটি সাম্প্রদায়িক বৈচিত্র্য ও সাংঘাতিকতা এনে দেয়, যা জীবনও স্বাস্থ্যকে ব্যক্তিগত ও সামাজিক স্তরে ভেঙে দেয়। পৃথিবী একটি অসীম বিশাল জায়গা, যেখানে বিভিন্ন জাতি, ধর্ম, সংস্কৃতি এবং ভাষা নিজস্ব আদর্শ ও মূল্যবোধে বিভক্ত আছে। তাই এই বিভিন্নতা সহজে আসতে পারে বা আসতেই পারে সংঘটিত হতে পারে যুদ্ধ ও অসন্তোষের রূপে। কিন্তু আমরা সা¤প্রদায়িকতার মধ্যে শান্তির মূল্যবোধটি বৃদ্ধি করার প্রতি নিরাপদ প্রতিবদ্ধ আছি, কারণ শান্তি হলো একটি সুন্দর স্বপ্ন, একটি বেশি উন্নত এবং সমৃদ্ধ পৃথিবীর স্বপ্ন।
মানবতা সমগ্রকে জড়িত করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা অত্যধিক মর্মস্পর্শী এবং সাম্প্রদায়িক উন্নতির পথে এগিয়ে যেতে পারে। এই যে বিভিন্ন সংস্কৃতি এবং ধর্মের আদর্শ, বিচার এবং মৌলিক অধিকারের মধ্যে প্রেম এবং সহযোগিতা সৃষ্টি করে, তা আমাদের একান্ত শান্তি ও সমপ্রেরণার জন্য একটি মাধ্যম হতে পারে। যুদ্ধের দায়িত্ব এবং বৃদ্ধি থেকে আমরা বিরত থাকার জন্য আমাদের সমগ্র প্রয়াস করা আবশ্যক। যুদ্ধ নিয়ে কেবল একটি দেশ নয়, বরং এটি পৃথিবীর সমস্যার সমাধান নয়। যুদ্ধের ফলে অপরাধীর প্রতি বিত্রাসনা এবং আবিষ্কার হয়, যা শান্তি এবং সহযোগিতার পথে আঘাত পৌঁছাতে পারে। যুদ্ধের কোনো ইতিবাচক দিক নেই, যার কারণে আমরা যুদ্ধকে সমর্থন করতে পারি। যুদ্ধের মধ্যে যা আছে তা শুধু ধ্বংস আর ধ্বংস এবং সাম্রাজ্যবাদীদের অস্ত্র ব্যবসা বৃদ্ধি আর বৃদ্ধি। শান্তির জন্য কখনো যুদ্ধের প্রয়োজন হয় না প্রয়োজন ত্যাগ, সমঝোতা, মানবিক প্রেমসমৃদ্ধ জ্ঞান ও দক্ষতা।

লেখক : প্রাবন্ধিক