আমরা ভালো না থাকলে ভারত ভালো থাকবে কিনা ভাবতে হবে

2

পূর্বদেশ ডেস্ক

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘যেকোনো নির্বাচনের আগে অবশ্যই দুটি কাজ সম্পন্ন করতে হবে। এর মধ্যে একটি জুলাই হত্যাকান্ডের বিচার; এই বিচার দৃশ্যমান হতে হবে। আরেকটি হলো প্রয়োজনীয় সংস্কার। এই দুটি ছাড়া বাংলাদেশের জনগণ কোনও নির্বাচন মেনে নেবে না।’
আমরা ভালো না থাকলে ভারত ভালো থাকবে কিনা ভাবতে হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ। তাদের স্বাধীনতাকে আমরা সম্মান করি। আমরা তাদের নিয়ে সম্মান, শ্রদ্ধা আর সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করতে চাই। আমরা ভালো না থাকলে তারা ভালো থাকবে কিনা, সেটি তাদের ভাবতে হবে।’
গতকাল শনিবার দুপুরে লালমনিরহাট জেলা কালেক্টরেট মাঠে জেলা জামায়াত আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
শফিকুর রহমান বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বারবার ঘোষণা দিয়েছেন, এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বিনয়ের সঙ্গে বলবো, আমরা নির্বাচন চাই, সুষ্ঠু নির্বাচন চাই; আমরা চুরিচামারি, কালোটাকার পেশিশক্তির প্রভাবযুক্ত নির্বাচন দেখতে চাই না। এই নির্বাচনের জন্য অবশ্যই সমতল মাঠ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) তৈরি করতে হবে। এই দায়িত্ব পালনের জন্য আপনারা যত রকম সহযোগিতা চান, সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত। তবে বিচার আর সংস্কার এই দুটো অবশ্যই করে নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না।’ খবর বাংলা ট্রিবিউনের।
সীমান্তে মানুষ হত্যা ও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের উত্তরের লালমনিরহাট জেলা একটি দূরবর্তী বর্ডার এলাকা। এই বর্ডার এলাকায় দুই তিন দিন আগে, আমাদেরই এক সন্তান হাসিনুর রহমান, সে একজন অতি সাধারণ শ্রমিক, এক ভাই এক বোনের সংসার। সে গিয়েছিল (সীমান্ত এলাকায়) গবাদিপশুর জন্য ঘাস কাটতে, সেখানে তার বুকের ওপর পা রেখে বিএসএফ ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করেছে। তার লাশটি টেনেহিঁচড়ে ওপারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমি জিজ্ঞাসা করি, সে কি মানুষ ছিল না? যারা হত্যা করেছে, ওরা কি মানুষ নয়? কীভাবে তারা ঠান্ডা মাথায় সীমান্ত পেরিয়ে এখানে এসে মানুষকে হত্যা করতে পারে? এটি তো একটি স্বাধীন দেশ। আমাদের বিজিবি আছে, তারা কি ওই পারে গিয়ে এগুলো করে? কারণ, আমরা তাদের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। আধিপত্যবাদের কালো ছায়া আমাদের ঘাড়ের ওপর ছিল ৫৩ বছর। আমরা এ ছায়া দেখতে আর দেখতে চাই না।’