আবুল খায়েরের স্ক্র্যাপ বায়েজিদ স্টিল থেকে উদ্ধার

1

সীতাকুন্ড প্রতিনিধি

সীতাকুন্ডের আবুল খায়ের স্টিল মিলস্’র ছিনতাই হওয়া স্ক্র্যাপ নগরীর বায়েজিদ স্টিল মিলস্ থেকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় স্ক্র্যাপ ছাড়াও একটি ট্রাকসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধারকৃত স্ক্র্যাপের আনুমানিক মূল্য ৮ লাখ টাকা। গতকাল বুধবার ভোরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে এসব উদ্ধার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সোনাইছড়ি বিএম গেট মোল্লাপাড়ার শফিউল আলমের পুত্র তারেক হোসেন (২৬) ও একই ইউনিয়নের শীতলপুর বগুলা বাজারের মৃত নুরুল হকের পুত্র মো. হাসান (২৬)।
পুলিশ জানিয়েছে, রড তৈরির স্ক্র্যাপ (কাঁচামাল) বহনকারী বিসমিল্লাহ ট্রান্সপোর্টের মালিকানাধীন ট্রাকটি সোনাইছড়ি ইউনিয়নের চৌধুরীঘাটায় আবুল খায়ের স্টিল মেল্টিং লিমিটেড ফ্যাক্টরিতে যাচ্ছিল। ট্রাকটি স্ক্র্যাপসহ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আবুল খায়ের স্টিল মেল্টিং লিমিটেড ফ্যাক্টরির উদ্দেশে রওনা হয়। ডাকাত দল সাইনবোর্ড (মদনহাট) এলাকা থেকে চালককে জিম্মি করে ট্রাকটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। আবুল খায়ের কর্তৃপক্ষ বিষয়টি থানাকে জানায়। পরে এসআই ওমরা খানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম এবং আবুল খায়ের স্টিলের টিম যৌথভাবে সম্ভাব্য স্থানে তল্লাশী শুরু করে।
একপর্যায়ে ট্রাকটির লোকেশন ট্র্যাক করা হলে তা নাসিরাবাদ বায়েজিদ স্টিল ফ্যাক্টরির ভেতরে রয়েছে বলে জানা যায়। বায়েজিদ থানা পুলিশকে ঘটনার বিস্তারিত জানানোর পরে এসআই আবুল হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম বায়েজিদ স্টিল ফ্যাক্টরিতে গেলে ট্রাকটি আনলোডিং পয়েন্টে পাওয়া যায়। এরপর ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আমিনুল ইসলাম এবং সীতাকুন্ড থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন ফোর্সহ গিয়ে স্ক্র্যাপসহ ট্রাকটি জব্দ করেন। এ সময় ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত দুজনকে আটক করা হয়।
আবুল খায়ের স্টিলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইমরুল কাদের ভূইয়া জানান, সাইনবোর্ড এলাকা থেকে ডাকাত দল ট্রাকটি ছিনতাই করে। এরপর বিষয়টা আমরা পুলিশকে জানাই। জিপিএস ট্র্যাকারের মাধ্যমে জানতে পারি স্ক্র্যাপগুলো বায়েজিদ স্টিল মিলের ভিতরে রয়েছে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে গাড়িসহ স্ক্র্যাপ ও আসামিদেরকে আটক করে সীতাকুন্ড থানায় নিয়ে আসে।
সীতাকুন্ড মডেল থানার ওসি মজিবুর রহমান বলেন, আবুল খায়ের স্টিল মিলের স্ক্র্যাপ নগরীর বায়েজিদ স্টিল মিলস্ থেকে গাড়িসহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় আসামিদের আটক করা হয়। এ বিষয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলা পরবর্তী আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।