অবরুদ্ধ পশ্চিমতীরে আরও হাজারখানেক অবৈধ বসতি গড়ার অনুমতি দিচ্ছে যাচ্ছে ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে উদ্ধৃত করে এই তথ্য জানায় ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ফিলিস্তিনিদের নিজেদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ করে ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল। ১৯৬৭ সালের আরব যুদ্ধের পর থেকে ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে রেখেছে। ফিলিস্তিনিরা চায় পশ্চিম তীরে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে এবং পূর্ব জেরুজালেমকে এর রাজধানী বানাতে। পূর্ব জেরুজালেমকে নিজেদের অবিভাজ্য রাজধানী বলে দাবি করে থাকে ইসরায়েল। অবশ্য আন্তর্জাতিক স¤প্রদায় ইসরায়েলের দখলদারিত্বকে স্বীকৃতি দেয় না। পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে অবৈধভাবে নির্মিত বসতিতে প্রায় ৬ লাখ ইসরায়েলি বসবাস করে। এই দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি জনতার প্রতিরোধকে সন্ত্রাসবাদ আখ্যা দিয়ে আসছে ইসরায়েল। নেতানিয়াহুর দফতর থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, এতে করে করে হাজার হাজার মানুষের বসাবসের অধিকার নিশ্চিত হবে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি অফিস ও ধর্মীয় উপাসনালয়ও গড়ে তোলা হবে।
তবে নির্দিষ্ট কোনও সংখ্যা বলা হয়নি। তবে আইনমন্ত্রী আয়লেত শ্যাকেড বলেন, ২ হাজারেরও বেশি বাড়ি তৈরি করা হবে। এখন পর্যন্ত অবরুদ্ধ পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ৫ লাখ ইসরায়েলি বসবাস করে। আর ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ২৬ লাখ। ফিলিস্তিনি ভূখন্ডে অবৈধ ইহুদি বসতি নির্মাণ নিয়ে কাজ করা পর্যবেক্ষণ সংস্থা পিস নাউ জানিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার দেড় বছরের মধ্যে পশ্চিম তীরে ১৪ হাজার ৪৫৪টি অবৈধ বসতির অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েল। আগের মার্কিন প্রশাসন থাকা অবস্থার চেয়ে যা প্রায় তিনগুণ।
২০১৮ সালের মে থেকে আগস্টের মধ্যে পশ্চিম তীরে ৭৯৪টি নতুন বসতি নির্মাণের কাজ শুরু করেছে ইসরায়েল। এ সংখ্যা জানুয়ারি থেকে এপ্রিলে নির্মাণ শুরু করা বসতির দ্বিগুণের বেশি।পশ্চিম তীরের বাইরে জেরুজালেমেও বাড়ছে অবৈধ বসতি নির্মাণ। সেখানকার স্থানীয় আরবদের ভবন তৈরির অনুমতি না দিলেও অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের ক্ষেত্রে সেটা প্রযোজ্য হয় না। ফলে সেখানেও বাড়ছে দখলদারদের সংখ্যা।