সিরিয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকেও কয়েক হাজার সৈন্যকে ফিরিয়ে আনার কথা বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যমগুলো। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে তালেবানের সঙ্গে যুদ্ধরত প্রায় ৭ হাজার সেনাকে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনার কথা জানানো হয়েছে। এ সংখ্যা আফগানিস্তানে যুদ্ধরত মোট মার্কিন সেনার অর্ধেক, বলছে বিবিসি।
ট্রাম্পের সঙ্গে ‘মতবিরোধের জেরে’ বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেমস ম্যাটিসের পদত্যাগের পরপরই মার্কিন গণমাধ্যমগুলোতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি থেকেও সেনা প্রত্যাহারের খবর ছড়িয়ে পড়ে। ম্যাটিসের দায়িত্ব ছাড়ার কথা পরে প্রেসিডেন্টও নিশ্চিত করেন। টুইটারে তিনি বলেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ‘সসম্মানে’ অবসরে যাচ্ছেন জেনারেল ম্যাটিস। শিগগিরই নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর নামও ঘোষণা করা হবে, বলেন ট্রাম্প। ম্যাটিস তার পদত্যাগপত্রে ট্রাম্পের সঙ্গে ‘মতের অমিলের’ ইঙ্গিত দিলেও সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয়েই এ মতবিরোধ কিনা, তা স্পষ্ট করেননি।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে সেনা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি থাকলেও গত বছর ট্রাম্প তালেবানদের পুনরুত্থান ও আফগানিস্তানের ধ্বংসযজ্ঞ রুখতে দেশটিতে মার্কিন সেনা রেখে দেওয়ার পক্ষে অবস্থান ব্যক্ত করেছিলেন। প্রেসিডেন্টের এ সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণায় হোয়াইট হাউসের বিদায়ী চিফ অব স্টাফ জন কেলি ও জাতীয় নিরাপত্ত উপদেষ্টা জন বোল্টনসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও নাখোশ বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট। রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম বলেছেন, আফগানিস্তানে সেনা কমানোর এ ‘ঝুঁকিপূর্ণ কৌশল’ ওই অঞ্চলে মার্কিন অগ্রগতিকে উল্টে দিতে পারে। এর ফলে ‘দ্বিতীয় আরেকটি ৯/১১’ এর সৃষ্টি হতে পারে বলেও শঙ্কা তার।