পটিয়া ও কর্ণফুলী
পটিয়ায় ও কর্ণফুলীতে বিএনপির উদ্যোগে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত র্যালি পূর্ব সমাবেশে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম বলেছেন, বিএনপি ছাত্র জনতার পাশে ছিল বলেই স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতন সম্ভব হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকার ছাত্র জনতাকে যখন নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করছিল, তখন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ছাত্র জনতার সাথে আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিএনপি যুক্ত হয়েছিল বলেই গণঅভ্যুত্থান সম্ভব হয়েছে। বর্তমান সরকারের কাছে আমাদের একটাই দাবি, সংস্কার যা করার দরকার তা দ্রুততম সময়ে শেষ করা হোক। সেসাথে দ্রুততম সময়ে নির্বাচন দিন। দীর্ঘদিন ধরে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। তারা ভোট দেয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পটিয়ায় উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে এ র্যালিপূর্ব সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। এর পূর্বে কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ক্রসিং এলাকায় তিনি বক্তব্য রাখেন এবং র্যালিতে নেতৃত্ব দেন।
পটিয়া পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব খোরশেদ আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে উপজেলা পৌরসভা বিএনপির সদস্য সচিব গাজী আবু তাহেরসহ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। সভায় উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব খোরশেদ আলম বলেন, গত ১৫ বছর ধরে বিএনপির যারা বেগম পাড়ায় বসবাস করেছিলেন তারা যেন দলের কোন সুবিধা না পায় সেটা নেতৃবৃন্দকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তারা গত ১৫ বছরে একটি মামলার শিকার হয়নি। পটিয়ার বিএনপিতে তাদের কোন স্থান হবে না।
সভায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক এনাম বলেন, পটিয়া আগেও বিএনপির ঘাঁটি ছিল। এখনো আছে। শেখ হাসিনা ভোটধিকার কেড়ে নিয়েছিলেন। আর তারেক জিয়া ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে আন্দোলনের নেতৃত্বে দিয়েছেন।
কর্ণফুলীর শিকলবাহায় উউপজেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে যোগ দেন। কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ডা. গিয়াস উদ্দিন ফারুকী ফায়সালের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মো. ওসমানের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন, দক্ষিণ জেলা বিএনপি আহবায়ক কমিটির সাবেক সদস্য এড.এস এম ফোরকান, কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল গফুর মেম্বার, সদস্য আবু তৈয়ব কনট্রাকটর, এজাবত উল্লাহ, সালেহ জহুর, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি যথাক্রমে ইদ্রিস হায়দার, এটিএম হানিফ, কাজী মঈন উদ্দীন টিপু, শেখ আহমদ মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে আবু তাহের, মনির উদ্দীন মুন্সি, এস এম ফারুক হোসেন, মো. সালাউদ্দিন, সেলিম খান, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিম, দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুন, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মো. নুরুল ইসলাম মেম্বার, দক্ষিণ জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহব্বায়ক শফিউল করিম শফি, দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহব্বায়ক মাঈন উদ্দীন মনির, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহব্বায়ক জাহিদুল ইসলাম শামীম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মো. ফারুক, সদস্য সচিব দিদারুল আলম, উপজেলা শ্রমিকদলের আহবায়ক তৈয়বুল আলম আংকুর, সদস্য সচিব মনির উদ্দীন, উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক আব্দুল মন্নান খান, সদস্য সচিব বাহারুল বাহার প্রমুখ। পটিয়া প্রতিনিধি
রাঙ্গুনিয়ায় চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল
চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ. এম রাশেদ খান বলেন, ৭ই নভেম্বর জাতীয় জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। সেদিন সিপাহী জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশে এক নতুন অধ্যায় সূচিত হয়েছিল। সিপাহী জনতা ক্যান্টনমেন্টের বন্দিদশা থেকে শুধুমাত্র বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করেননি, তারা গোটাজাতিকে মুক্ত করেছিল। দেশের অত্যন্ত দুর্যোগময় সময়ে আলোকবির্তকা হয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ থেকে দেশে একটি সুশৃংখল পরিবেশ ফিরিয়ে এনেছিলেন। মানুষের বাকস্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জাতীয় রাজনীতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করে আধিপত্যবাদ, একনায়কতন্ত্র, একদলীয় শাসন, জনজীবনের বিশৃঙ্খলাসহ তখনকার বিরাজমান নৈরাজ্যের অবসান ঘটান।
৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাঙ্গুনিয়া মাজারে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদনকালে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- এইচ.এম রাশেদ খান, বেলায়েত হোসেন বুলু, সিনিয়র সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান দিদার, এড. সাইদুল ইসলাম, হারুন আল রশিদ, মামুনুর রহমান, এন আই চৌধুরী মাসুম, হারুন অর রশিদ, যুগ্ম সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, এম. আবু বক্কর রাজু, সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই, সাজ্জাদ হোসেন, এম. এ হানিফ, দিদার হোসেন, এমদাদুল হোসেন স্বপন, তাজুল ইসলাম নয়ন, সৈয়দ মফিজ উদ্দিন সুমন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক খান, সাইফুল আলম দিপু, মোঃ সেলিম, শাহাজান বাদশা, হারুনুর রশিদ মনি, সহ-দপ্তর সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, মোঃ বাকের হোসেন, জাকির হোসেন মিশু, মিজানুর রহমান, পারভেজ, বায়েজীদ থানা আহবায়ক আলতাফ হোসেন, চান্দগাঁও থানা আহবায়ক সাজিদ হাসান রনি, বাকলিয়া থানা আহবায়ক দুলাল মিয়া, চকবাজার থানা আহবায়ক রিদওয়ানুল হক, বায়েজীদ থানা সদস্য সচিব কাজী মহিউদ্দিন, আব্দুর রশিদ টিটু, জহুরুল ইসলাম জহির, মো. পারভেজ, মীর কাশেম, এমদাদুল হক, মো. মুন্না প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি
আনোয়ারা
আনোয়ারা উপজেলায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বিকালে কালাবিবির দিঘি মোড়ে আনোয়ারা উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপজেলা বিএনপির আহব্বায়ক মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে যুগ্ম আহব্বায়ক এডভোকেট ফৌজুল আমিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহব্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান, যুগ্ম আহব্বায়ক হুমায়ুন কবির চৌধুরী আনসার, মেসবাহ উদ্দিন চৌধুরী জাহেদ, হাসান চৌধুরী। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি মো. শাহজাহান, সেলিম উল্লাহ খান, নজরুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন, বদিউল আলম, নুর ইসলাম, কনক চৌধুরী, ইউছুফ, গফুর সওদাগর, মো. ইদ্রিছ। দক্ষিণ জেলা শ্রমিক দলের সদস্য মো. আজম, দক্ষিণ জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক মো. আলম খান, দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহব্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রনেতা হান্নান রহিম তালুকদার দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহব্বায়ক আসাদুজ্জামান সাজ্জাদ, মো. সেলিম, আরিফুল ইসলাম প্রমুখ। আনোয়ারা প্রতিনিধি
লামা
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) লামা উপজেলা ও পৌর শহর শাখার উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা শহরস্থ জেলা পরিষদ গেস্ট হাউস মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের লামা পৌর শহর শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু তাহেরের সভাপতিত্বে আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন, পৌরসভার সাবেক মেয়র ও বিএনপির উপজেলা শাখার (একাংশ) সভাপতি আমির হোসেন। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন-উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপির উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক থোয়াইনু অং চৌধুরী। আলোচনায় উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের মিয়া, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের উপজেলা আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন রফিক ও সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের উপজেলা সভাপতি মো. জাকির হোসেন, উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি জোসনা বেগম, সরকারী মাতামুহুরী কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মং মারমা, উপজেলা ছাত্রদলের আহব্বায়ক মনিরুল ইসলাম তুহিন ও যুগ্ম-আহব্বায়ক মো. চান মিয়া বিশেষ অতিথি ছিলেন। দিবসে দলের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ গ্রহণ করেন।
সভায় বক্তারা বলেন, আজকের এই দিনে আওয়ামী লীগের সমর্থক কতিপয় বিভ্রান্ত সৈনিকের জিম্মিদশা থেকে জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করে দেশপ্রেমী সিপাহী জনতা। পাল্টে যায় দেশের পটভূমি। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা পায়। লামা প্রতিনিধি