আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী-সাংবাদিক জনতার ফিজিওথেরাপিসেবা উদ্বোধন

2

রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া সন্মেলন কক্ষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী-সাংবাদিক-জনতার জন্য বিনামূল্যে ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন চিকিৎসা সহায়তা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে । মানবিক চিন্ত-চেতনায় আহতদের পঙ্গুত্ব প্রতিরোধ এবং সুস্থ্য ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে ঢাকাসহ দেশের প্রতিটি বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় বাংলাদেশ ফিজিক্যাল থেরাপি এসোসিয়েশন (বিপিএ) এর কয়েক শত ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ সদস্যগণ তাদের হাসপাতাল, ক্লিনিক ও সেন্টার থেকে ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন চিকিৎসা প্রদান করা শুরুর ঘোষণা করে বিপিএ। অনুষ্ঠানে আহতদের মধ্য থেকে নিম্ন আয়ের ২০ পরিবারের হাতে নগদ অর্থ সহায়তা তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি গুলিবিদ্ধ হয়ে যারা এক পা বা দুই পা হারিয়েছেন, তাদের জন্য কৃত্রিম পা-অঙ্গ, হুইল চেয়ার, ক্রাচও বিনামূল্যে প্রদানসহ অতি নিন্ম আয়ের রোগীদের জন্য সামর্থ্য অনুযায়ী সহায়তা প্রদান করবে বিপিএ । পুরো কার্যক্রম বিপিএ র ‘ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন চিকিৎসা সহায়তা কমিটি’র মাধ্যমে চলমান থাকবে । আহত ভুক্তভোগীদেরকে মোবাইল নম্বর সমূহে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানানো । ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন চিকিৎসা সহায়তা কমিটিঃ কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ডা. দলিলুর রহমান ০১৭৫১৮৭১৬১৪, চট্রগ্রাম বিভাগের সমন্বয়ক ডা. জাহিদুল ইসলাম -০১৬৭৫৬৬৭১২৯, বিপিএ অতিশীঘ্রই হট স্পট গুলোতে ক্যাম্প করে আহতদের খুঁজে বের করার কাজও শুরু করবে । অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম সময়োচিত ও অত্যাবশ্যকীয় উদ্যোগ গ্রহনের জন্য বিপিএ কে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আহতদের পঙ্গুত্ব প্রতিরোধ এবং সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন চিকিৎসা প্রদানসহ নিহতদের পরিবার এবং আহতদের ও তাদের পরিবারের জন্য সর্বচ্চ সহায়তা প্রদানের জন্য আন্দোলনে আহত নিহতদের রক্তের বিনিময়ে গঠিত বর্তমান সরকারের কাছে জোর দাবি জানান । পাশাপাশি দেশ-বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিদেরকে সামর্থ্য অনুযায়ী তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ জানান তিনি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত আহত রোগীদের অভিভাবক, অতিথি, ফিজিওথেরাপি পেশাজীবীরা বক্তব্য প্রদান করেন। বক্তারা বলেন, ন্যায্যতার দাবী ও মানবিক বাংলাদেশ বির্র্নিমাণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শত শত নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। তাদের এই ত্যাগ জাতি সারাজীবন মনে রাখবে। এই আন্দোলন সময়কালীন বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও মাস্তান-সন্ত্রাসী-দুর্বৃত্তদের বন্দুকের গুলি ও অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছে হাজার হাজার শিক্ষার্থী, জনতা, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ । তাদের মধ্যে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ হয়ে শত শত আহত বীর যোদ্ধারা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে যাচ্ছে। শত শত বীর যোদ্ধারা কেউ এক পা কিংবা দুই পা হারিয়ে চিরতরে পঙ্গুত্বের শিকার হয়ে তারা ও তাদের পরিবার মানবেতর সময় অতিবাহিত করছেন। তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সবাইকে আহবান জানান বক্তারা । অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আহতদের পরিবারের মধ্য থেকে বেশ কয়েকজন অভিভাবক, বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দের সভাপতি মিসেস শিমা দত্ত, অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী ও ব্যবসায়ী শহীদুল্লাহ, বাংলাদেশ ফিজিকেল থেরাপি এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. দলিলুর রহমান, সিনিয়র সহ সভাপতি ডা. ইশরাত জাহান, মহাসচিব ডা. ফরিদ উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. জাকারিয়া ফারুক, যুগ্ম সম্পাদক ডা. মনিরুজ্জামান খান, ডা. মিজানুর রহমান, নির্বাহী সদস্য ডা. মঞ্জুরুল আলম, ডা. জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি