আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা পরিচালনার জন্য চিফ প্রসিকিউটর-সহ ৫ জন প্রসিকিউটর নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর রুনা নাহিদ আখতারের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘দ্য ইন্টারনেশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনালস) অ্যাক্ট, ১৯৭৩ এর ৭ সেকশন অনুসারে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা পরিচালনার জন্য নিম্ন বর্ণিত আইনজীবীদেরকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের প্রত্যেকের নামের বিপরীতে উল্লিখিত পদে (বর্ণিত পদমর্যাদা, প্রাপ্য বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাসহ) নিয়োগ প্রদান করা হলো। খবর বাংলা ট্রিবিউনের।
প্রজ্ঞাপনে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ তাজুল ইসলামকে চিফ প্রসিকিউটর (অ্যাটর্নি জেনারেলের পদমর্যাদা) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া চার জনকে প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন, মো. মিজানুল ইসলাম (অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের পদমর্যাদা), গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম (ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের পদমর্যাদা), বি এম সুলতান মাহমুদ (ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের পদমর্যাদা), আব্দুল্লাহ আল নোমান (সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের পদমর্যাদা)।
এর আগে গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সব প্রসিকিউটর পদত্যাগ করেন। এর ফলে পদগুলো শূন্য হয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার ৩৯ বছর পর মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। ট্রাইব্যুনালের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২০১০ সালের ২৫ মার্চ। পরে ২০১২ সালের ২২ মাচ ট্রাইব্যুনাল-২ নামে আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। তবে ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দুটিকে একীভ‚ত করে আবার একটি ট্রাইব্যুনাল বহাল রাখা হয়। ফলে একটি ট্রাইব্যুনালে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারকার্য চলমান ছিল।