আনোয়ারা প্রতিনিধি
আনোয়ারায় মাহিন্দ্রা ও বাস শ্রমিক-মালিকদের মধ্যকার দ্বন্দ্বে কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বাস মালিক ও শ্রমিকরা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। গতকাল শনিবার সকাল থেকে আনোয়ারার চাতরী চৌমুহনী থেকে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি।
জানা যায়, চট্টগ্রাম শহর থেকে মাহিন্দ্রাগুলো যাত্রী নিয়ে আনোয়ারা উপজেলার চাতরী চৌমুহনী বাজারে চলে যায়। ফলে ক্ষতির মুখে পড়ছেন বাসমালিকরা। মাহিন্দ্রা চালকদের সাথে বাসচালকদের মারামারির খবরও পাওয়া যায় প্রায় সময়। বাস শ্রমিক-মালিকরা পূর্ব থেকে কোনো ঘোষণা না দিয়েই বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীরা। তারা বাসের জন্য এসে বাস চলাচল বন্ধের খবরে বিপদে পড়ছেন। দুর্ভোগে সময় মতো কাঙ্খিত গন্তব্যে যাওয়া-আসায় সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। ভোগান্তিতে পড়ছেন চট্টগ্রাম শহরে চাকুরিরত যাত্রীরাও।
এছাড়াও বাস চলাচল বন্ধের সুযোগ নিয়ে বাড়তি ভাড়া নেয়ার অভিযোগও এসেছে সিএনজি অটোরিকশা চালকদের বিরুদ্ধে।
চট্টগ্রাম শহরগামী ব্যবসায়ী মো. সোহেল বলেন, ‘বাস চলাচল বন্ধের বিষয়টি কথা আগে থেকে বলা হয়নি। প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে চাতরী চৌমুহনী বাজারে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছি। বাস চলাচল না করায় অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে অন্যান্য যানবাহনগুলো’। তিনি বলেন, ‘নিউমার্কেট এলাকায় আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। দোকান খোলার জন্য সকাল সকাল বের হয়েছি। কিন্তু গাড়ি না পাওয়ায় কীভাবে যাব বুঝতে পারছি না’।
বাস চালক মো. মনসূর বলেন, তিন চাকার মাহিন্দ্রাগুলো চাতরী চৌমুহনী বাজারে আসার নিয়ম নেই। গত কয়েক দিন থেকে এসব গাড়ি চাতরী চৌমুহনী বাজারে চলে আসতেছে। যার ফলে আমাদের যাত্রী কমে যাচ্ছে। আমাদের আড়াইশত থেকে তিনশত গাড়ি আছে যার মধ্যে অধিকাংশ বাস নতুন ব্রিজ থেকে চাতরি চৌমুহনী বাজারে চলে। আগে থেকেই যাত্রী অনেক কমে গেছে, এখন মাহিন্দ্রাগুলো এই পথে অবৈধভাবে চলাচল করায় দিন দিন যাত্রীর সংখ্যা আরো কমে যাচ্ছে। তাদের চলাচলের সীমানা হচ্ছে মইজ্যারটেক পর্যন্ত। আনোয়ারায় তারা আসার কোনো সুযোগ নেই। তারপরও নিয়ম ভঙ্গ করে ক্ষমতা দেখিয়ে প্রতিনিয়ত তারা মাহিন্দ্রাতে যাত্রী তুলে চাতরী চৌমুহনী থেকে নিউ মার্কেট পর্যন্ত চলাচল করছে।
আনোয়ারা’র বাস শ্রমিক নেতা মো. আজাদ বলেন, মাহিন্দ্রাগুলো শহর থেকে মইজ্যারটেক পর্যন্ত চলাচল করার কথা। এগুলো আমাদের বাসস্টপে চলে আসতেছে। নিষেধ করলে আমাদের বাস চালকদের মারধর করে। এগুলোর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।