আনোয়ারায় ভোটদানে বাধা, হাতাহাতি

18

আনোয়ারা প্রতিনিধি

আনোয়ারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গতকাল ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এ সময় কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে একটি কেন্দ্রে হাতাহাতির ঘটনায় সাময়িক ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখা হয়েছিল। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পুনরায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
এদিকে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কাজী মোজাম্মেল হক (আনারস) ৫৮ হাজার ৮৩০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী তৌহিদুল হক চৌধুরী (দোয়াত কলম) ৩৬ হাজার ৮০৭ ভোট পেয়েছেন।
এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে এম এ মান্নান মান্না (চশমা) ৩১ হাজার ১৫৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী আবু জাফর চৌধুরী (টিয়া পাখি) ৩০ হাজার ৪৩৭ ভোট পেয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে এড. চুমকি চৌধুরী (হাঁস) ৪৫ হাজার ৯৪০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পারভীন হাবিব (কলস) পেয়েছেন ২৫ হাজার ৯৪০ ভোট। নির্বাচনে ভোট প্রদানের হার ৪২ ভাগ।
গতকাল রাতে আনোয়ারা উপজেলা পরিষদ হল রুমে প্রার্থীদের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এরপর বিজয়ী প্রার্থীরা সমর্থকদের নিয়ে আনন্দ মিছিল করেন।
এর আগে আনোয়ারায় প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির জেরে হাইলধর ইউনিয়নের বশিরুজ্জামান স্মৃতি শিক্ষাকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল দেড় ঘণ্টা। গতকাল বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয় কেন্দ্রটির ভোটগ্রহণ।
দায়িত্বরত প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এহসানুল হক বলেন, এক প্রার্থীর সমর্থক ভোট দিতে আসায় আরেক প্রার্থীর সমর্থকরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। এতে কিছুটা উত্তেজনা তৈরি হলে ভোটগ্রহণ সাময়িক বন্ধ রাখা হয়। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দেড় ঘণ্টা পর পুনরায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
এছাড়া উপজেলার পশ্চিম বরুমছড়া আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী তৌহিদুল হক চৌধুরী ও আনারস প্রতীকের প্রার্থী কাজী মোজাম্মেল হকের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এতে একজন আঘাতপ্রাপ্ত হন। তবে এ ঘটনা কেন্দ্রের বাইরে হওয়ায় ভোটগ্রহণ কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রটির প্রিজাইডিং কর্মকর্তা রিজোয়ান উদ্দিন।