পূর্বদেশ ডেস্ক
চট্টগ্রামে পেট্রোল বোমায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার দুই নারী যাত্রীর দগ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে, তার পেছনে কোনো ‘রাজনৈতিক কারণ নেই’ বলে মনে করছে পুলিশ। গতকাল রবিবার ভোরে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার আতুরার ডিপো এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন লায়লা বেগম (৫০) ও ঝরনা বেগম (৩০)। তারা রাউজান পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি আরিফুর রহমান বলেন, এই ঘটনাটি তাদের কাছে ‘রাজনৈতিক’ বলে মনে হচ্ছে না। পারিবারিক পূর্ব শত্রুতার কারণে নাকি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে এটা করা হয়েছে, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খবর বিডিনিউজের
চট্টগ্রাম মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই নুরে আলম আশেক বলেন, ভোরে দগ্ধ দুই নারীকে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের যারা এনেছেন, তারা বলছেন- ওই নারীদের বহনকারী অটোরিকশা লক্ষ্য করে ‘পেট্রোল বোমা’ ছোড়া হয়েছিল।
অটোরিকশা চালক মো. জামি বলেন, তিনি রাউজান থেকে কুতুবদিয়া মালেক শাহ হুজুরের মাজারে যাচ্ছিলেন যাত্রী নিয়ে। তার গাড়িতে তিনজন নারী, দুজন পুরুষ ও এক শিশু ছিলেন।
জামির ভাষ্য, আতুরার ডিপো পেট্রোল পাম্প পার হবার সময় তার গাড়ি লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা ছোড়া হয়। বোমাটি পেছনের আসনে গিয়ে পড়ে। হামলাকারীরা তিনজন ছিলেন এবং তারা মুখ বাধা অবস্থায় মোটরসাইকেলে করে এসেছিল বলে দাবি চালক জামির।
এ বিষয়ে দুপুরে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি আরিফুর রহমান বলেছেন, তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের কাছে রাজনৈতিক বলে মনে হচ্ছে না। ওই অটোরিকশায় রাজনৈতিক কেউ ছিল না, নারী ও শিশু যাত্রী ছিল। যে মোটরসাইকেল থেকে বোতল ছুড়ে মারা হয়েছিল সেটি হাটহাজারি থেকে অটোরিকশাটিকে অনুসরণ করে নগরীর দিকে এসেছে। আমিন জুট মিলের কাছে গিয়ে পেট্রোল বোমা জাতীয় বোতল ছুড়ে মারে’।
ওসি আরিফুর বলেন, পারিবারিক কোনো বিরোধ বা পূর্ব শত্রæতার কারণ নাকি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে সেটি পুলিশ খতিয়ে দেখছে।