নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনের ক্ষেত্রে অনিয়ম ও আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রো কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এমরান হোসাইনের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানের সময় দুদকের টিম আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয় এবং জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং সংশ্লিষ্ট নথিপত্র পর্যালোচনা করে অনিয়মের বিষয়গুলো খতিয়ে দেখেন। অভিযানের মূলে ছিল চারটি এনআইডি সংশোধনের ঘটনা। যেগুলো দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে ছিল এবং সম্প্রতি সন্দেহজনকভাবে নিষ্পত্তি হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, ওই চারটি এনআইডি সংশোধনের সঙ্গে অর্থ লেনদেনের প্রমাণ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করা হয়েছে চারটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। যেগুলোর মাধ্যমে সংশ্লিষ্টরা টাকা লেনদেন করেছে বলে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে। তবে এই একাউন্টগুলো সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে সংশ্লিষ্ট দপ্তর কোন তথ্য দিতে পারেনি। তারা জানিয়েছে, এসব অ্যাকাউন্ট নির্বাচন কমিশনের নয়।
দুদকের সহকারী পরিচালক এমরান হোসাইন জানান, আমরা চারটি এনআইডি সংশোধনের বিষয়ে তদন্ত করেছি, যেগুলো ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। তবে অভিযোগ রয়েছে, সংশোধনের পেছনে আর্থিক লেনদেন হয়েছে। এছাড়া যেসব ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য আমাদের কাছে আছে, তা যাচাই করে দেখা হবে আসলে কাদের নামে রয়েছে।
অন্যদিকে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, দুদক চারটি এনআইডি সংশোধনের বিষয়ে তথ্য নিতে এসেছিল, যেগুলো আগেই নিষ্পত্তি হয়েছে। তারা আমাদের অফিস সংক্রান্ত কিছু তথ্য চেয়েছেন, আমরা তা দিয়েছি। যদি প্রমাণ হয় আমাদের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী অনিয়মে জড়িত, তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে এনআইডি সংশোধনের নামে দালালচক্র ও কিছু অসাধু কর্মকর্তার জড়িত থাকার অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে গণমাধ্যম ও জনমনে আলোচিত। দুদকের এ অভিযান সেই প্রসঙ্গেই নতুন করে তৎপরতা দেখিয়েছে।
দুদক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিষয়টি আরও গভীরভাবে অনুসন্ধান করে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।