আজ শুরু ডিসি সম্মেলন, উঠছে ৩৫৪ প্রস্তাব

1

পূর্বদেশ ডেস্ক

তিনদিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন শুরু হচ্ছে আজ রোববার। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সকাল সাড়ে ১০টায় নিজ কার্যালয়ের শাপলা হলে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। এটি চলবে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
গতকাল শনিবার বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ। তিনি জানান, ডিসিদের পাঠানো ১ হাজার ২৪৫ প্রস্তাবের মধ্যে ৩৫৪টি কার্যপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সচিব বলেন, রেওয়াজ থাকলেও এবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ডিসিদের সাক্ষাৎ হচ্ছে না। সময় মেলাতে না পারায় এ বছর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কোনো অধিবেশন থাকছে না।
ড. শেখ আব্দুর রশীদ বলেন, এ বছর জেলা প্রশাসক সম্মেলনে চারটি বিশেষ ও ৩০টি কার্যঅধিবেশন থাকবে। এর মধ্যে রয়েছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একটি মুক্ত আলোচনা এবং বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের একটি সভা। এই চারটি বাদ দিয়ে বাকি ৩০টি হবে কর্ম-অধিবেশন।
এ বছরের সম্মেলনে প্রধান প্রধান আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে থাকছে ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম জোরদার, দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা, দারিদ্র্য বিমোচন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, শিক্ষার মান উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবা, পরিবেশ দূষণ রোধ ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম সমন্বয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগামীকাল (আজ) থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় জেলা প্রশাসক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। অংশগ্রহণকারী মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থা ৫৬টি। কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত ১ হাজার ২৪৫টি প্রস্তাবের ৩৫৪টি প্রস্তাব কার্যপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে আসা প্রস্তাবের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদসচিব বলেন, এমপিওভুক্তি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যা আয় হয়, তা কিভাবে ব্যয় হয় জানা যায় না বেশির ভাগ ক্ষেত্রে। তার হিসাব রাখার প্রস্তাব করেছেন একজন জেলা প্রশাসক। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে বডি ক্যামেরা রাখা, মরণাস্ত্র ও ছররা গুলি না রাখার প্রস্তাব আছে। সার্কিট হাউসে গুরুত্বপূর্ণ অতিথি থাকলে কেপিআই হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব আছে। পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে অনিয়ম দূর করতে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে একজনকে রাখার প্রস্তাব আছে।
এবারের সম্মেলনে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধরে রাখা হবে বলেও জানান তিনি। ড. শেখ আব্দুর রশীদ বলেন, জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠার পর আগের সরকারের দর্শনের সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্নজনের নামে সড়ক, সেতুর মতো অবকাঠামোগতসহ কিছু প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হয়নি। এ বছর ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা বাজেট আছে। কিছু কম হবে বলে আশা করি।