আজানের শব্দ নিয়ন্ত্রণের ব্যাখ্যা দিলো সৌদি কর্তৃপক্ষ

13

 

মসজিদের মাইক থেকে আজানের শব্দ নিয়ন্ত্রণে রাখার বিতর্কিত ঘোষণার বিষয়ে নতুন ব্যাখ্যা দিয়েছেন সৌদি আরবের ইসলাম ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী। অতিরিক্ত শব্দ নিয়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। গত সপ্তাহে সৌদি আরবের ইসলাম ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক ঘোষণায় বলা হয়, সব মসজিদের মাইকের আওয়াজ সর্বোচ্চ সীমার এক তৃতীয়াংশে সীমিত রাখতে হবে। এছাড়া পূর্ণ খুতবার বদলে কেবলমাত্র আজানের জন্যই মাইক ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়। সৌদি কর্তৃপক্ষের এই ঘোষণার সমালোচনায় সরব হয়ে ওঠেন দেশটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা।
নেতিবাচক সমালোচনার প্রেক্ষিতে সৌদি আরবের ইসলাম ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ আল শেখ জানিয়েছেন,অতিরিক্ত শব্দে শিশু এবং বয়স্কদের সমস্যা হচ্ছে বলে জনতার অভিযোগের প্রেক্ষিতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘যারা নামাজ পড়তে চান তাদের ইমামের ডাকের জন্য অপেক্ষা করার প্রয়োজন হয় না। তারা আগেভাগেই মসজিদে হাজির হয়ে যান।’ কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল আজান এবং কুরআন তেলাওয়াত সম্প্রচার করে জানিয়ে তিনি বলেন, মাইক খুব সামান্য মানুষের কাজে আসে। শত শত মসজিদের দেশ সৌদি আরবে মাইকের শব্দ নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্তকে অনেকেই স্বাগত জানিয়েছেন।
হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে রেস্তোরাঁ ও ক্যাফেতে উচ্চ শব্দে মিউজিক বাজানো নিষিদ্ধ করা দাবি উঠতে শুরু করে। অনলাইনে এই পদক্ষেপের যারা সমালোচনা করেছেন তাদের ‘দেশের শত্রু’ অভিহিত করে এরা ‘জনমতকে উস্কাতে চায়’ বলে অভিযোগ করেন সৌদি আরবের ইসলাম ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সৌদি আরবকে একটি উদার, আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন। মানুষের জীবনে ধর্মের ভূমিকাও কমিয়ে আনার চেষ্টা করছেন তিনি।