আগামী সপ্তাহজুড়েও বৃষ্টিপাতের আভাস

1

নিজস্ব প্রতিবেদক

মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তায় বরিষণের মাস আষাঢ়ের দ্বিতীয় পক্ষেও বৃষ্টিধারা অব্যাহত থাকার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাই বিদায়ী সপ্তাহের ধারাবাহিকতায় আগামী সপ্তাহজুড়েও দেশের বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে বৃষ্টি হতে পারে। বিরাজমান আবহাওয়ার কারণে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে আবহাওয়া অধিদপ্তর দেশের চার সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দিয়েছে। আর উপকূলের নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, মৌসুমি বায়ু এখন সক্রিয়। এর প্রভাবেই বৃষ্টি ঝরতে পারে। তাছাড়া সাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে পড়লেও তার একটা প্রভাব এখনও রয়ে গেছে। এই দুইয়ের মেলবন্ধনে বিশেষ করে উপক‚লের বিভিন্ন স্থানে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি বাড়তে পারে। এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া খুলনা, বরিশাল, নোয়াখালীসহ উপকূলের নদীবন্দরকে এক নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। শুধু উপক‚লীয় এলাকাই নয়। মৌসুমি বায়ুর এ সক্রিয়তার কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি এবং কোথাও কোথাও বজ্রপাত হতে পারে।
এর আগে গত বুধবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের জুলাই মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া চলতি মাসে এক থেকে তিনটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি মৌসুমি নি¤œচাপে পরিণত হতে পারে। তবে সদ্য বিদায়ী জুন মাসে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ১৯ দশমিক তিন শতাংশ বৃষ্টি কম হয়েছে। সবচেয়ে কম বৃষ্টি হয়েছে সিলেট বিভাগে। সিলেটে সাধারণত বৃষ্টি বেশি হয়।কিন্তু গত মাসে এই বিভাগে স্বাভাবিকের তুলনায় ৪৯ শতাংশ বৃষ্টি কম হয়েছে। এছাড়া, জুলাই মাসে দেশে এক থেকে দুটি মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে পরবর্তী চব্বিশ ঘন্টার জন্য প্রচারিত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ এলাকায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে। গত চব্বিশ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ ৮১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে সমুদ্র উপক‚লবর্তী অঞ্চল কক্সবাজারের টেকনাফে। আবহাওয়া দৃশ্যপটে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমি বায়ু দেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।