পূর্বদেশ ডেস্ক
আগামী শিক্ষাবর্ষের নবম ও দশম শ্রেণির বই ২০১২ সালের পুরনো সিলেবাসে ছাপানো হবে জানিয়ে এ দুই শ্রেণির নতুন পাঠ্যবইয়ের চাহিদা পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্য পুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এনসিটিবির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তাদের ওয়েবসাইটে আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জেলা ও উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে চাহিদা দাখিল করতে হবে। ১২ সেপ্টেম্বর অনুমোদন নিতে হবে জেলা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে। আর আঞ্চলিক উপপরিচালকরা চাহিদা অনুমোদন দেবেন। খবর বাংলানিউজের।
অন্যান্য বছরের মত ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন), দাখিল, এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল এবং কারিগরি পর্যায়ের বইয়ের চাহিদা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে অনলাইনে সংগ্রহ করা হয়েছে।
তবে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নবম ও দশম শ্রেণির ক্ষেত্রে জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০১২-এর আলোকে শাখা ও গুচ্ছভিত্তিক সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যবই (২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ছাড়া) দেওয়া হবে বলে জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারের বরাবর পাঠানো ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
আপনার অধীন অঞ্চল-জেলা-উপজেলা-থানা থেকে নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের চাহিদা সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সংগ্রহ করে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে নতুন তৈরি করা ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে পাঠানোর অনুরোধ করা হল।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষা ব্যবস্থা আমূল পাল্টে দেওয়া হচ্ছে। মাধ্যমিকে ফিরছে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ। মূল্যায়ন পদ্ধতি অনেকটাই জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২ এর মত হবে।
গত ১ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব রহিমা আক্তার স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে বলা হয়, নানা সমস্যার কারণে জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০২২ ‘বাস্তবায়নযোগ্য নয়’।
এই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের বাঁধা হিসেবে শিক্ষকদের প্রস্তুতির ঘাটতি, পাঠ্য বিষয়বস্তু ও মূল্যায়ন পদ্ধতি সম্পর্কে অস্পষ্টতা ও নেতিবাচক ধারণা, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার অভাবের কথা বলা হয় সেখানে।
সিদ্ধান্ত হয়েছে, পাঠ্যক্রম সংশোধন ও পরিমার্জন করে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হবে এবং আগামী বছর থেকে পাঠ্যবইয়ে পরিবর্তন আসবে।
মাধ্যমিকে ছয়টি করে বিষয়ভিত্তিক যে মূল্যায়ন কার্যক্রম এ বছর অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে, সেগুলো আর হবে না। ২০২৬ সালের এসএসসি ও সমানের পরীক্ষায় বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা অব্যাহত থাকবে। ২০২৫ সালে যথাসম্ভব সংশোধন ও পরিমার্জন আনা হবে পাঠ্যবইয়ে।