আকবর শাহ এলাকায় পাহাড় ও খালপাড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

4

নিজস্ব প্রতিবেদক

নগরীর আকবর শাহ এলাকায় পাহাড় ও কালির ছড়া খাল দখল করে গড়ে ওঠা ৩০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে এক যৌথ অভিযানে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরাফাত সিদ্দিকী গতকাল বৃহস্পতিবার এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন। অভিযানে পাহাড়ের কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা লেক সিটি আবাসিক এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। স্থানীয় পরিবেশকর্মীকেও মারধর করা হয়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
১৭ অক্টোবর বিভাগীয় পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় হওয়া সিদ্ধান্ত অনুসারে গতকাল এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে আকবর শাহ এলাকার হারবাতলী থেকে উজানে কালির ছড়া খালের প্রায় এক কিলোমিটার অংশ দখলমুক্ত করা হয়। এসময় স্থানীয়দের হামলায় আহত হন পরিবেশকর্মী ও দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকার সহ-সম্পাদক শফিকুল ইসলাম খান।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী বলেন, কালির ছড়া খালটি সর্বনিম্ন ২৫ ফুট থেকে সর্বোচ্চ ৬০ ফুট চওড়া ছিল। কিন্তু দখলের কারণে এখন খালের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়াই কঠিন। খালের বিভিন্ন অংশ ভরাটও হয়ে গেছে। লেক সিটি আবাসিক এলাকার কয়েকটি প্লট মালিক খালের জায়গায় চলে গেছে। সিটি করপোরেশন ওই জমি ডিমারকেশন করে দিয়েছিল। কিন্তু বিএস জরিপে সেগুলো সরকারি খাস জমি। ২০০৬ সালের আকবর শাহর পাহাড়ি এলাকায় ৩০ একর জমি কিনে লেক সিটি আবাসিক এলাকা গড়ে তোলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (সিসিসি)। পরে ২০১৮ সালে সেখানে পাকা রাস্তাও করা হয়।
আরাফাত সিদ্দিকী বলেন, সরকারি জমির নির্ধারিত সীমানা অনুসারে আমরা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছি। এরমধ্যে ডেইরি ফার্ম, গুদামঘর, আবাসিক প্লটের সীমানা দেয়াল, দোকানসহ বিভিন্ন ধরনের প্রায় ৩০টি পাকা স্থাপনা আছে। উচিত ছিল এসব স্থাপনায় সংযোগ দেওয়ার আগে পাহাড়, খাল নাকি খাস জমি তা চিহ্নিত করা। সরকারি সংস্থাগুলো সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার বিষয়ে একমত হয়েছেন। পুরো উচ্ছেদ অভিযান শেষ হলে সিটি করপোরেশন খালের নাব্য ফিরিয়ে আনতে এবং পানি প্রবাহ স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নেবে।
অভিযান চলাকালে পানি ও বিদ্যুতের সংযোগ এবং খাজনা পরিশোধের কাগজ দেখিয়ে কয়েকজন জমির মালিক বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি), চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (সিসিসি), চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), চট্টগ্রাম ওয়াসা, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ ও কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড এ অভিযানে জেলা প্রশাসনকে সহায়তা করে।