আওয়ামী সন্ত্রাসীরা এখনও অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে

1

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেছেন, এখনও অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। শুনছি, তারা ডাকাতি-চাঁদাবাজির সাথে জড়িয়ে আছে। সতর্ক করছি, বিএনপির সেই সব মোনাফেকদের, যারা তাদেরকে সহায়তা করছে। আমাদের দলে তাদের কোন জায়গা নেই। আমরা এখন নির্বাচনমুখি, সেজন্য আমাদের অনেক কিছু সহ্য করতে হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার রাঙ্গুনিয়ার পদুয়া ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রাজারহাট ফুটবল খেলার মাঠে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কিছু দোসর এখনও ঘুরঘুর করছে। তারা অপেক্ষায় আছে, কখন আক্রমণ করবে আমাদের ওপরে। সতর্ক করে দিতে চাই, হয়ত আমাদের ওপর যেভাবে জুলুম করেছেন, সেভাবে করবো না। তবে সেনাবাহিনীর ভাইয়েরা আছেন, পুলিশ ভাইয়েরা আমাদের সহযোগিতা করবেন। আপনাদের কাজ হচ্ছে এদেরকে ধরিয়ে দেওয়া।
বিএনপিতে চাঁদাবাজ-দালালদের জায়গা নেই উল্লেখ করে হুম্মাম কাদের বলেন, বিএনপি শহীদ জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া দল। এখানে চাঁদাবাজদের কোন জায়গা নেই, আওয়ামী লীগের দালালদের কোন জায়গা নেই।
জনসভায় সভাপতিত্ব করেন পদুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি নুরুল ইসলাম মেম্বার। প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক আহব্বায়ক মুহাম্মদ শওকত আলী নূর। সঞ্চালনা করেন দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহব্বায়ক জহির উদ্দিন বাবর ও যুবদল নেতা মো. রাসেল। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহব্বায়ক আবছার হোসেন তালুকদার। এছাড়া জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
হুম্মাম কাদের আরও বলেন, বিএনপি তারেক রহমানের নেতৃত্বে এমন একটি দল, যেটা জনগণের পাশে থাকে। আমদের দল বাংলাদেশের সকল মানুষের দল। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে, তারেক রহমানের ৩১ দফার বার্তা মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া।
সাবেক মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, পদুয়ায় হাসপাতালের ডিজাইন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী করে গিয়েছিলেন। ১৮ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিলো, কোথায় সেই হাসপাতাল? হাছান মাহমুদ নাকি পদুয়ার সন্তান। তিনি নিজ বাড়িতে একটা হাসপাতাল করতে পারলেন না, ডাক্তার আনতে পারলেন না। সেই হাছান মাহমুদ এখন আর দেশে নাই। আশা করি, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সন্তান দুই-তিনটা ডাক্তার নিয়ে আসতে পারবে।
তিনি বলেন, শুধু বিএনপি নয়, ১৭ বছর সব বিরোধী দল নির্যাতনের শিকার হয়েছে। রাস্তায় হেফাজতে ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোট ও জামায়াতে ইসলামী এরা কেউই আমাদের বাইরে নয়। তারা আন্দোলনে আমাদের পাশে ছিল।