আইনজীবীর আশা স্বামীসহ খালাস পাবেন জুবাইদা

1

পূর্বদেশ ডেস্ক

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় তিন বছরের সাজা থেকে ডা. জুবাইদা রহমান খালাস পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন তার আইনজীবী এস এম শাহজাহান। একইসঙ্গে এই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত তার স্বামী ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও খালাস পাবেন বলে তিনি আশা করেন।
গতকাল সোমবার সাজার রায়ের বিরুদ্ধে জুবাইদা রহমানের আপিল শুনানি শেষে সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান।
এদিন শুনানি শেষে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আপিলের রায় দিতে ২৮ মে দিন ধার্য করেন। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান। আপিলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান, কায়সার কামাল ও জাকির হোসেন ভূঁইয়া। খবর বাংলানিউজের।
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, জুবাইদা রহমান ও তার মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক।
এ মামলার বিচার শেষে ২০২৩ সালের ২ আগস্ট জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তারেক রহমানকে দুই ধারায় মোট নয় বছর (৬ ও ৩ বছর একসঙ্গে চলবে) এবং তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদন্ড দেন ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের তৎকালীন বিচারক মো. আছাদুজ্জামান।
রায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ধারায় তারেক রহমানকে তিন বছর এবং ২৭(১) ধারায় ছয় বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাকে তিন কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।
জুবাইদা রহমানকে ২৭(১) ধারায় তিন বছরের কারাদন্ড ও ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পরে এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের নির্বাহী আদেশে তার সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়।
২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর স্বামী তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন ডা. জুবাইদা রহমান। ১৭ বছর পর চলতি বছরের ৬ মে শাশুড়ি খালেদা জিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশে ফিরে আসেন তিনি। এসে হাইকোর্টে আপিল করেন। গত ১৪ মে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জরিমানা স্থগিত করে ওইদিন আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাকে জামিন দেওয়া হয়। গত ২২ মে এ মামলার শুনানি হয়েছিল।
আইনজীবী এস এম শাহজাহান বলেন, দুই দিন শুনানি শেষে ২৮ মে বুধবার রায়ের জন্য রেখেছেন। যে সম্পত্তিগুলো তারেক রহমানের নামে দেখানো হয়েছে, একটাও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত না, অসাধু না। একটা টাকা বা একটা সম্পত্তিও বাংলাদেশের বাইরে না। বাংলাদেশের বাইরে এই পরিবারের কোনো ঠিকানা নেই।
তারেক রহমানের খালাস প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা আদালতে বলেছি জুবাইদা রহমানের আপিল সামনে রয়েছে। তিনি আইন মেনে যথাযথভাবে আপিল করেছেন। আমাদের এখানে নজির আছে ২১ আগস্ট গ্রেনেড মামলা, গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের মামলায়, জিয়া অরফ্যানেজ ট্রাস্ট ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় তারেক রহমানের আপিল ছিল না। কিন্তু আমরা প্রধান বিচারপতির আদালতে আবেদন করেছিলাম, যদি মামলায় প্রমাণ না হয় তাহলে যিনি আপিল করতে পারেননি, আপিলকারীকে যদি খালাস দেন সেটা তার বেলায়ও প্রযোজ্য হবে। সেই প্রার্থনা আদালত রেখেছেন। ইতিমধ্যে ৩/৪টি মামলায় তারেক রহমানকে খালাস দিয়েছেন। আশা করি ন্যায় বিচার পাব। জুবাইদা রহমান খালাস পাবেন এবং উনার স্বামী তারেক রহমানও খালাস পাবেন বলে আশা করি।