মেলবোর্নে অস্ত্রোপচার করাতে ৯ মার্চ দেশ ছেড়েছিলেন সাদমান ইসলাম ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। অস্ট্রেলিয়ান শল্যবিদ গ্রেগ হয়ের তত্ত্বাবধানে সফল অস্ত্রোপচার শেষে গত মঙ্গলবারই দেশে ফিরেছেন তারা। কিন্তু ফিরেই ‘ঘরবন্দি’! করোনাভাইরাস আতঙ্কে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ১৪ দিনের জন্য সেলফ-কোয়ারেন্টাইনে যেতে হয়েছে তাদের।
এই দুই ক্রিকেটারের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী। তাদের সঙ্গে তাকেও স্বেচ্ছায় আলাদা থাকতে হচ্ছে।
বিদেশ থেকে কেউ এলে ১৪ দিন সেলফ- কোয়ারেন্টাইনে যাওয়া বাধ্যতামূলক, সরকারের এই নির্দেশনা মেনে সবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকছেন জাতীয় দলের বাঁহাতি ওপেনার সাদমান ও অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পেস বোলিং অলরাউন্ডার মৃত্যুঞ্জয়।
এ প্রসঙ্গে শুক্রবার মৃত্যুঞ্জয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘করোনাভাইরাস আতঙ্ক নিয়ে দেশে ফিরেছি। বিমানবন্দরে আমার পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিশেষ ব্যবস্থা ছিল। সবকিছু ঠিক আছে, আমি এই মুহূর্তে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছি। যেহেতু বিদেশ থেকে ফিরেছি, যতটুকু সাবধানে থাকা যায়। এই মুহূর্তে সচেতনতা খুব জরুরি। ভাইরাসের ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আশা করি দ্রুততম সময়ে বিশ্ব থেকে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’
মোহাম্মদপুরের নিজ বাসায় কোয়ারেন্টাইনে থাকায় বাড়তি একটি সুবিধা দেখছেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এই পেসার, ‘এমনিতেই আমাকে বিশ্রামে থাকতো হতো। এখন আরও ভালো হয়ছে, পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে পারব। ইনজুরি থেকে দ্রæত উন্নতি করতে পারব।’
ভারত সফরে ইনিজুরিতে পড়া সাদমানও দেশে ফিরেছেন। জাতীয় দলের বাঁহাতি ব্যাটসম্যান জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়া থেকে আসার পর বাসা থেকে আর বের হয়নি, ‘দেশে ফেরার পর থেকেই বাসায়। আর বের হওয়া হয়নি। বিমানবন্দর থেকে এখন একটা স্বাক্ষর নিয়ে আসতে হয়। ওটা নিয়ে বাসায় এসে আর বের হওয়া হয়নি। নির্ধারিত ১৪ দিন বাসাতেই থাকবো। আশা করি আমাদের এই সমস্যা কেটে যাবে।’