‘অসঙ্গতিপূর্ণ’ বিলের প্রমাণ পেয়েছে দুদক

3

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রামে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তারা। এ সময় বিল-ভাউচার ছাড়া ভ্রমণবিল উত্তোলনের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে দুদক।
গতকাল রবিবার দুপুরে নগরীর পাহাড়তলীতে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের তিনটি আলাদা কার্যালয়ে অভিযান চালায় দুদক। এ সময় অভিযোগ সংক্রান্ত রেলের বেশকিছু নথিপত্র জব্দ করা হয়।
অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সায়েদ আলম জানান, অভিযানে চালিয়ে কর্মকর্তাদের ভ্রমণ বিল উত্তোলনে বেশকিছু অসঙ্গতি পেয়েছি। বিষয়গুলো ঠিকভাবে রেজিস্ট্রার মেনটেইন করা হয়নি। আর কিছু কিছু বিল অফিসের রেজিস্ট্রারে তোলা না হলেও এজি অফিসের রেজিস্ট্রারে তোলা হয়েছে। আবার কিছু বিল তোলা হয়নি।
এছাড়া কিছু অসঙ্গতিপূর্ণ ভাউচারের তথ্য পাওয়া গেছে। দেখা গেছে, কিছু কিছু কর্মকর্তা মাসে ২০-২২ দিন ভ্রমণ দেখিয়ে ভাউচার জমা করেছেন। কিন্তু মাসে এতবার ভ্রমণ করলে অফিস করেছেন কখন সেটাও দেখার বিষয়।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভাউচার ছাড়া সাড়ে ১০ লাখ টাকা ভ্রমণবিল উত্তোলনের অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালানো হয় বলে জানান দুদক কর্মকর্তা সায়েদ আলম। তিনি বলেন, অভিযানে আমরা বেশকিছু কাগজপত্র সংগ্রহ করেছি, আরও কিছু কাগজপত্র আমাদের সরবরাহ করতে বলেছি। অনেক টাকার গরমিল দেখা গেছে। সব কাগজপত্র দেখে তথ্য মিলিয়ে আমরা একটি প্রতিবেদন জমা দেব।
এদিকে দুদকের একটি সূত্র জানিয়েছে, রেলের মাফিয়াদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই অভিযান চালানো হবে। বিশেষ করে গত ১৫ বছর ধরে রেলের বিভিন্ন টেন্ডারে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এবং স্বৈরাচার সরকারের দোসরদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে গত ১৫ বছর যুবলীগের ক্যাডার হেলাল আকবর বাবর ও তার সহযোগী মাফিয়া শাহ আলমসহ অন্য কয়েকজন কব্জা করে রেখেছিল। স্বৈরাচার পতনের পরও বাবরের সহযোগীরা নানাভাবে ‘ম্যানেজ’ করে চলার চেষ্টা করছে। দুদক এবার তাদের টার্গেট করেও অভিযান পরিচালনা করবে।