অভুক্ত কুকুরকে খাওয়াচ্ছেন আমির

28

করোনা ভাইরাস থেকে দেশবাসীকে সুস্থ রাখতে চলছে সরকার ঘোষিত ১৭ দিনের সাধারণ ছুটি। ফলে বন্ধ রয়েছে হোটেল রেস্তোরাঁসহ সব ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান। শ্রমজীবী সব মানুষ অবস্থান নিয়েছে নিজ নিজ ঘরে। এ অবস্থায় খেটে খাওয়া মানুষের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করতে এগিয়ে এসেছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসহ সমাজের বিশিষ্টজনরা।
কিন্তু নগর জুড়ে থাকা শত শত কুকুর-বিড়ালসহ বিভিন্ন প্রাণি পড়েছে খাদ্য সংকটে। নগরীর সব হোটেল রেস্তোরাঁ ও নানা সামাজিক অনুষ্ঠানের ক্লাবগুলো বন্ধ থাকায় অভুক্তই থাকতে হচ্ছে এসব অবলা প্রাণির।
এ অবস্থা উপলব্ধি করে নগরীতে ভাসমান কুকুরগুলোর মুখে এলাকাভিত্তিক প্রতিদিন এক বেলা
খাবার তুলে দিতে এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি। নগরীর মোজাফফর নগর, বায়েজিদ, টেক্সটাইল, পলিটেকনিক এলাকায় প্রায় অর্ধশত কুকুরকে প্রতিদিন একবেলা খাবার দিচ্ছেন পশুপ্রেমী আমির ইসাবা ফারুক।
পেশায় ছাত্র আমির তার বাবা সাংবাদিক মোহাম্মদ ফারুক, মা শাহানাজ ফারুক ও ছোট ভাই আবির ইসাবা ফারুককে নিয়ে পারিবারিকভাবে গত ১ এপ্রিল থেকে এই কার্যক্রম শুরু করেন। পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কার্যক্রম ১১ এপ্রিল পর্যন্ত চালিয়ে নিতে পশুপ্রেমীদের সহযোগিতা কামনা করা হলে অনেকেই সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন।
আমীর ইসাবা ফারুক বলেন, দেশের এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ তাদের আশপাশের অভুক্ত কুকুরগুলোর মুখে অন্তত একবেলা খাবার তুলে দিলে প্রাণিগুলোর প্রাণ বাঁচবে। তিনি বলেন, একটি কুকুরের জন্য চাল, ডাল, মাংস ও পরিবহন খরচ বাবদ ২৬ টাকা করে লাগছে। দৈনিক কমপক্ষে ২৫টি কুকুরের জন্য দরকার হচ্ছে ৬৫০ টাকা। যেসব ব্যক্তি ও সংগঠন ইতোমধ্যে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন, তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আমীর ইসাবা ফারুক।
কেউ সহযোগিতা করতে চাইলে ০১৯৭-০১৮৩২৭৬ নম্বরে বিকাশ (পারসোনাল) করার আহŸান জানিয়েছেন তিনি।
আমীরের বাবা সাংবাদিক মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ছেলের এ উদ্যোগকে শুরু থেকেই সমর্থন দিয়ে আসছি। রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো অভুক্ত কুকুরগুলোর চিৎকার আমাদের কানে পৌঁছায়। প্রত্যেকে যদি নিজ এলাকায় কিছু খাবার এসব প্রাণির জন্য রেখে দেয়, তাহলে জীবপ্রেমের মধ্য দিয়ে সৃষ্টিকর্তার অনুগ্রহ লাভ হবে বলে বিশ্বাস করি। খবর বাংলানিউজের