অবৈধ তেলের ডিপোসহ পুড়েছে ১৫ দোকান

1

সীতাকুন্ড প্রতিনিধি

সীতাকুন্ডের অবৈধ কালো তেলের ডিপোতে অগ্নিকান্ডে ডিপোসহ ১৫টি দোকান পুড়ে যায়। গত রবিবার রাতে উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন টিঅ্যান্ডটি রোডের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আগুনে প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্তরা।
এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, বরিবার রাত ১২টার দিকে লাগা এ আগুন মুহূর্তেই পাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফার্নিচার শোরুম, স্টেশনারি দোকান, গার্মেন্টস জুটের গুদাম, কুলিং কর্নার, ফার্নিচার দোকান, রড-সিমেন্টের দোকানসহ কয়েকটি চায়ের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে কুমিরা ও বায়েজিদ ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে তেলের ডিপোসহ ১৫টি দোকান পুড়ে যায়। এতে তেলের ডিপো ছাড়াও আশপাশের সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে প্রায় দুই কোটি টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সীতাকুন্ডের কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, তেলের ডিপো থেকে আগুনের সূত্রপাত। পরে তা আশপাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন নেভাতে প্রথমে দুটি ইউনিট যায়। পরে আগুনের তীব্রতা বেশি হওয়ায় বায়েজিদ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটকেও আনা হয়। চারটি ইউনিটের যৌথ প্রচেষ্টায় ছয় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। প্রাথমিক তদন্তে আমরা আগুনের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ২৫ লক্ষ টাকা বলে ধারণা করছি। এদিকে ক্ষতিগ্রস্তরা আগুনের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দুই কোটি টাকা বললেও ফায়ার সার্ভিস ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেখিয়েছে ২৫ লক্ষ টাকা।
এ বিষয়ে কুমিরা স্টেশন কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘উর্ধ্বতন স্যারের নির্দেশক্রমে আমরা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেখিয়েছি। এই ক্ষেত্রে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে ছয় ঘণ্টা লাগলেও ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা আগুন থেকে আশপাশের দোকানগুলো রক্ষা করতে সক্ষম হই। আগুনে কালো তেলের ডিপোসহ আশেপাশের ১২/১৩টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।’