অফিস-লোক সব একই পরিবর্তন শুধু সাইনবোর্ড

2

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম ওয়াসায় গত ১৫ বছর ধরে শ্রমিকলীগের নামে নিয়োগ বাণিজ্যসহ সাধারণ কর্মচারীদের জিম্মি করে রাখা কিছু মধ্যসারির নেতাকর্মী নতুনভাবে শ্রমিকদল নামে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নগর বিএনপির এক নেতার সহযোগিতায় তারা সাংগঠনিকভাবে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে চাইছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদের মূল লক্ষ্য ওয়াসার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নেওয়া এবং নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করা। এদের সহযোগিতা করছে আবার পতিত স্বৈরাচার সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত কিছু কর্মকর্তা। তারা বিভিন্ন আর্থিক সুবিধা দিয়ে সংগঠনটিকে পুনরুজ্জীবিত করছে। শ্রমিকলীগের অফিসই এখন তাদের সাংগঠনিক কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে, শুধু সাইনবোর্ডে নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।
স্বৈরাচারের আমলে নির্বাচন কমিশনের দুর্নীতিবাদ সচিব হেলাল উদ্দিনের নিকটাত্মীয় মো. নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে ‘চট্টগ্রাম ওয়াসা শ্রমজীবী ইউনিয়ন (রেজি. নং-১৬৮৭)’ নামে একটি সংগঠন পুনরায় সক্রিয় হচ্ছে। সংগঠনটি গত ২০ বছর ধরে নিষ্ক্রিয় ছিল। বর্তমানে ওয়াসার কিছু অসাধু কর্মকর্তার সহায়তায় এটি পুনরুজ্জীবিত হচ্ছে।
চট্টগ্রাম ওয়াসা জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী দল (রেজি. নং- ২৩০৭) এর সিনিয়র সহ সভাপতি কাজী মহিউদ্দিন মানিক বলেন, ‘রেজি. নং-১৬৮৭ শ্রমিকলীগের একটি ছদ্মবেশী সংগঠন। তারা বিগত সরকারের আমলে ওয়াসাতে সিবিএ নির্বাচন হতে দেয়নি। ২০০৬ সালে সিবিএ নির্বাচনে তারা মাত্র ২টি ভোট পেয়েছিল। চট্টগ্রাম মহানগর এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের নেতৃত্বে শ্রমিক কর্মচারী দল (রেজি. নং- ২৩০৭) দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়। তারা বিভিন্ন আন্দোলন ও সংগ্রামে সাংগঠনিকভাবে অংশ নিয়েছে।
শ্রমিকলীগের ছদ্মবেশী সংগঠনের নেতৃত্বে রয়েছেন আলমগীর হায়দার। সংগঠনের মূল পরিকল্পনাকারীদের একজন হিসেবে আছেন মাঈন উদ্দিন চৌধুরী। এছাড়া শ্রমিকলীগ থেকে নতুন দলে আসার অন্যতম ব্যক্তি মো. শোইয়ার খান, সুব্রত দাশ, উজ্জ্বল দাশ, আ. রহমান ও নজরুল ইসলাম।
শ্রমিকলীগের ছদ্মবেশী সংগঠনের নেতৃত্বে থাকা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি কোনোভাবেই শ্রমিকলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। ওইসময় আওয়ামী লীগ আমলের অনেক সচিব ওয়াসায় আসলে, তাদের সঙ্গে গ্রুপ ছবি ছিল। এর বেশি কিছু নয়।’