অপহরণের সাত দিনেও কিশোরের খোঁজ মেলেনি

1

বাঁশখালী প্রতিনিধি

বাঁশখালীতে আবদুল হামিদ (১৮) নামে এক কিশোরের অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় (২৫ জানুয়ারি) ভুক্তভোগী যুবকের মা নুরুন্নাহার বাদি হয়ে বাঁশখালী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ কাজ করছে না বলে অভিযোগ। অপহৃত কিশোর আবদুল হামিদ শেখেরখীল ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের আবদুল মালেকের ছেলে। ভুক্তভোগীর মায়ের দায়েরকৃত লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আবদুল হামিদ পেশায় একজন ট্যাক্টর চালক। আবদুল হামিদকে নিয়ে প্রতিদিন জুয়ার আসর বসায় একই এলাকার নজির আহমদের ছেলে আবু তাহের (৪০), রহমত আলীর ছেলে মো. মুবিন, বাবুল মিয়ার ছেলে মো. এরশাদ (২০), রহমত আলীর ছেলে মো. সোহেল (২০)। গত ২৩ জানুয়ারি মাগরিবের পর আবদুল হামিদ ঘর থেকে বের হন। সেদিন আনুমানিক রাত সাড়ে ৭ টার দিকে জুয়াখেলার টাকা নিয়ে আবদুল হামিদের সাথে অপহরণকারীদের ঝগড়াঝাটি হয় বলে জানতে পারেন তার মা নুরুন্নাহার।তখন থেকে সারারাত আর বাড়িতে ফিরেনি হামিদ। ভিকটিম আবদুল হামিদের মা নুরুন্নাহার জানান, অপহরণের পর থেকে ছেলেকে বিভিন্ন স্থানে গিয়ে খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পাইনি। ২৪ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে আমার মেয়ের কাছ থেকে জানতে পারি, আবু তাহের ও তার সঙ্গীরা মিলে আবদুল হামিদের বোনের বাড়ি সরল ইউনিয়নের জঙ্গল পাইরাং এলাকায় গিয়ে হামলা করে এবং ঘরে ঢুকে আমার ছেলেকে খোঁজ করে। হামিদকে না পেয়ে আমার মেয়ের সাথে আসামিরা অশ্লীল আচরণ করে ঘরের মালামাল ও টাকা পয়সা লুট করে। এরপর থেকে হামিদকে খুঁজে না পেয়ে আমি ও আমার স্বামী বিবাদীদের জিজ্ঞাসাবাদ করি। তারা আমার ছেলে সম্পর্কে কোনও মন্তব্য না করে গালিগালাজ শুরু করে।
তিনি বলেন, গালাগালির এক পর্যায়ে ২৫ জানুয়ারি সকাল ৮টায় আমার বাড়িতে এসে বিবাদীরা স্বামীকে বলে যে, আমার ছেলে আবদুল হামিদ মারা গেলে তাদের দায়ভার নাই বলে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার চেষ্টা করে। অপরদিকে আমার ছেলের মোবাইলও বন্ধ পাওয়ায় তাকে হত্যা কিংবা গুম করা হয়েছে বলে আশংকা করছি।
বাঁশখালী থানার এসআই ইমাম হোসেন জানান, তদন্ত করে জানতে পেরেছি, এটা তাদের সাজানো নাটক। ছেলেটা তার বন্ধুর মোবাইল ও টাকা চুরি করে নিজে আত্মগোপনে থেকে চট্টগ্রাম শহরে দোকানে চাকরি করছে বলে খবর পেয়েছি। তাকে ধরে উল্টো মামলা দিচ্ছেন না কেন জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর দেননি। এসআই ইমাম হোসেনের বক্তব্যের বিষয়ে ভিকটিম আবদুল হামিদের মা নুরুন্নাহারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন দোকানে চাকরি করে সে দোকান থেকে আমার ছেলেকে উদ্ধার করে দিতে বলেন ইমাম হোসেনকে। আমি আমার ছেলেকে জীবিত অথবা তার লাশ ফেরৎ চাই।