শতবর্ষী অপর্ণাচরণ সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের উন্নয়নে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ব্যাপক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। কলেজের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির বাইরে ফুটপাত দখল মুক্তকরণ ও ডাস্টবিনগুলো সরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কলেজের চারিদিকে গ্রীণ ওয়াকওয়েসহ সৌন্দর্যবর্ধন এবং এই এলাকার পথচারীদের জন্য গণশৌচাগার নির্মাণ করা হবে। বিপ্লবীকন্যা প্রীতিলতার স্মৃতির জন্য এ প্রতিষ্ঠানটি আমাদের গৌরবগাঁথা ইতিহাসের অংশ। বীরকন্যা প্রীতিলতা যেভাবে জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যোগদান করেছিল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীদেও অন্যায়-অত্যাচার-অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানান মেয়র।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর অপর্ণাচরণ সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী সভা, সম্প্রসারিত ঊর্ধ্বমুখী ভবনের উদ্বোধন এবং কলেজ থেকে প্রকাশিত বার্ষিকী ‘অরুণিকা’র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য জানান চসিকের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
তিনি বলেন, শুধু পুঁথিগত শিক্ষা অর্জন করলে হবে না। নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। এখন শিক্ষিত মানুষের অভাব নেই, কিন্তু ভালো মানুষের, সুশিক্ষিত মানুষের অভাব রয়েছে। আমাদেরকে সেই অভাব পূরণ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ড. কিসিঞ্জার চাকমা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আবু তালেব বেলাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাথরঘাটা ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ইসমাইল হোসেন বালি, কলেজের অভিভাবক সদস্য ইঞ্জিনিয়ার পাওয়ার রক্ষিত, মিউনিসিপাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাহেদুল কবির চৌধুরী।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের আহব্বায়ক শাহিদা বেগম। অনুষ্ঠানের শুরুতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে অপর্ণাচরণ স্কুল ও কলেজের সাংস্কৃতিক স্কোয়ার্ডের সদস্যরা। পরে স্কুলবার্ষিকী ‘অরুণিকা’র মোড়ক এবং নতুন ভবনের সম্প্রসারিত অংশের উদ্বোধন করেন।
একই দিনে প্রবর্তক স্কুল অ্যান্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। বিজ্ঞপ্তি