ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগ ও দলটির কর্মী-সমর্থকরা বিভিন্ন কৌশলে অন্তবর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেছেন, সরকারকে একেবারে ব্যর্থ করে দিতে যে পলাতক স্বৈরাচার ছিল, তার দোসরা বসে নেই, সেটা দেশের ভেতরেই হোক বা বাইরে হোক, প্রশাসনের ভেতরে হোক বা দেশের বাইরে হোক, এরা কিন্তু ওঁৎ পেতে আছে যে কীভাবে এই অন্তবর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করে দেওয়া যায়। খবর বিডিনিউজের।
জনগণের চাওয়া-পাওয়াকে গুরুত্ব দিলে সেই ষড়যন্ত্র সফল হবে না মন্তব্য করে তারেক বলেন, আমরা মনে করি, সরকারের সঙ্গে জনগণের আস্থা নিবিড় থাকলে তাদের ষড়যন্ত্রের ডালপালা বিস্তারের সুযোগ পাবে না। জনগণ যা চাইছে অন্তবর্তীকালীন সরকার যদি সেগুলোকে ‘অ্যাড্রেস’ করে, তাহলে ষড়যন্ত্রকারীরা কোনো সুযোগ পাবে না, তাদের ষড়যন্ত্র সফল হবে না।
গতকাল শনিবার বিকালে রাজধানীর রমনায় জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (জেটেব) এর তৃতীয় জাতীয় কাউন্সিলে ভিডিও কলে বক্তব্য দেন তারেক রহমান।
তিনি বলেন, জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা যদি নিশ্চিত করা না যায়, তাহলে গণতন্ত্র, উন্নয়ন কিংবা সমস্যা আমরা যাই বলছি না কেন, কোনোটাই টেকসই হবে না। একজন নাগরিকের রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রথম হাতিয়ার হচ্ছে ভোট প্রয়োগের অধিকার।
আজকে আপনারা (টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়াররা) কিন্তু ভোট প্রয়োগ করে নেতা নির্বাচন করেছেন। একইভাবে জনগণ ভোট প্রয়োগের সুযোগ যদি না পায়, তাহলে রাষ্ট্রের সঙ্গে নাগরিকদের যে সম্পর্ক-অংশীদারত্ব সেই সম্পর্ক-অংশীদারত্ব কিন্তু সৃষ্টি হয় না।
অন্তর্বতী সরকারের নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের উদ্যোদের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, জনগণের এবার স্বচ্ছ পরিবেশে নির্ভয়ে ভোট দেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে বলে তারা আশা করছে। বিশ্বাসযোগ্য ও সুনির্দিষ্ট আস্থা পেলে অন্তবর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে জনগণের আস্থার বন্ধন আরও দৃঢ় হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
গণআন্দোলনে আহতদের স¤প্রতি সড়কে নেমে বিক্ষোভের বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আহতরা হাসপাতাল থেকে রাজপথে বেরিয়ে এসেছে, এটি সমগ্র দেশের গণতন্ত্র প্রিয় মানুষের জন্য, সাধারণ মানুষের জন্য অত্যন্ত লজ্জার দৃশ্য। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা ও নিরাপত্তা কেন সরকারের অন্তবর্তীকালীন সরকারের অগ্রাধিকার লিস্টে নেই বা কত নম্বরে ছিল।